কানাইঘাট প্রতিনিধি:: নভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী লগডাউন থাকায় কানাইঘাটে হাজার হাজার শ্রমজীবি মানুষ জীবিকার পথ বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে এক ধরনের মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ কঠোর থাকায় ঘরবন্ধী হয়ে পড়েছেন শ্রমজীবি মানুষ। নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান জানিয়েছেন, সরকারি ভাবে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পৌরসভায় ইতি মধ্যে ৩৫টন চাল ও নগদ ১লক্ষ ৭০ হাজার টাকার খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। আজ শনিবার আরো ৪০ টন চাল ও নগদ ১লক্ষ ২২ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। এসব চাল প্রতিটি ইউনিয়নে শ্রমজীবি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হবে। অনেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচেতন মহল জানিয়েছেন এই মূহুর্তে ঘরবন্ধী শ্রমজীবি ও মধ্য বিত্ত পরিবারের মধ্যে বেশি করে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত যে সব বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। তারা সরকারি ভাবে আরো বেশি করে খাদ্য সামগ্রী বরাদ্ধ দেওয়ার জন্য দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। এদিকে সরকারের পাশাপাশি নভেল করোনা ভাইরাসের কারনে ঘর বন্ধী হাজার হাজার শ্রমজীবি ও দিন মজুর পরিবারগুলোর পাশে অনেকে তাদের সাধ্য অনুযায়ী পাশে দাড়িয়েছেন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মস্তাক আহমদ পলাশ, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল্লাহ শাকির, ঝিঙ্গাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন, লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য ব্যবসায়ী তমিজ উদ্দিন, যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মুমিন, সৌদি প্রবাসী ফয়েজ আহমদ, ইরাম ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী এনামুল হক মাসুম, কানাইঘাট বাজার বনিক সমিতি, কন্টাক্টর শুয়াইবুর রহমান শোয়েব, লোহাজুরি প্রবাসী কল্যান সংস্থা সহ কিছু সামাজিক সংগঠন খাদ্য সামগ্রী ও নগদ কয়েক লক্ষ টাকা বিতরণ করেছেন। প্রতিদিন খাদ্য সামগ্রী পাওয়ার জন্য দরিদ্র পরিবারের লোকজনকে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয় ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে ভিড় করছেন বলে জানা গেছে। জনপ্রতিনিধিরা এই সংকট মূহুর্তে অসহায় পরিবারগুলো পাশে দাড়ানোর জন্য সমাজের বিত্তশালীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। নির্বাহী কর্মকর্তা আরো বলেছেন ইতি মধ্যে সরকারি ভাবে যে সব বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা বিতরন অব্যাহত রয়েছে। সরকার প্রতিটি দিনমজুর পরিবারে খাদ্য পৌছে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বরাদ্দ প্রক্রিয়াও চলমান থাকবে। তিনি সরকারি নির্দেশনা মেনে এসব খাদ্য সামগ্রী বাড়ীতে বাড়ীতে পৌছে দেওয়ার জন্য জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং সার্বিক বিষয় মনিটারিং করা হচ্ছে। তিনি সরকারের পাশাপাশি এই দূযোর্গ মূহুর্তে দরিদ্র অসহায় পরিবারের পাশে দাড়ানোর জন্য বিত্তবান ও সামাজিক সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।