নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের স্বামী পরিত্যক্ত এক সন্তানের জননীকে ধর্ষনের সংবাদ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর ভিকটিম ওই নারীর বাড়িতে এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মাসুক আলী।
গতকাল বুধবার সকালে তিনি কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে ওই বাড়িতে যান এবং আহত মহিলার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। পাশাপাশি অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে বলে আশ্বস্থ করেন।
উল্লেখ্য, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ভুমিহীন ( রাজনগর) গ্রামের মতিন্দ্র করের মেয়ে ১ সন্তানের জননী শুক্লফা কর (২৫) ইনাতগঞ্জের রাজনগর গ্রামের বাবার বাড়িতে মায়ের সাথে থাকেন।
গত বৃহস্পতিবার বেলা ২ টার সময় শুক্লফা রাজনগর গ্রামের পাশে একটি ফিশারিতে পাড়ে খাবারের জন্য কচু শাক কাটতে যান। এ স্থানে সব সময় লোকজনের আনাগোনা কম থাকে। সেই সুযোগে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা একই গ্রামের সারাজ উদ্দিনের পুত্র ৩ সন্তানের জনক শামীম মিয়া(৩৮) শুক্লফাকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরে। এ সময় শুক্লফা তাকে নির্যাতন না করতে বাবা বলে ডাকে। শুক্লফা অনেক অনুনয় বিনয়সহ সর্বচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে বাবা ডেকেও শামিমের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি। এক পর্যায়ে শুক্লফাকে শামীম ধর্ষন করে। ধর্ষন করেই সে শান্ত হয়নি। যৌনাঙ্গে হাত দিয়ে আঘাত করে। সাথে সাথে তার রক্তপাত শুরু হয়। সেই সাথে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়সহ আঘাত করতে থাকে।
এ ঘটনার পর আহত শুক্লফাকে নিয়ে তার মা ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে ইনচার্জ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদের কাছে ঘটনাটি জানান। ইনচার্জ তাদের কোন শান্তনা না দিয়েই বের করে দেন।
শুক্লফার মা জানান,আমার মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ৩ ঘন্টা পুলিশের অপেক্ষা করলেও ইনচার্জ তার বাড়িতে যাননি। তবে এসআই আবু বকর হাসপাতাল থেকে আসার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরে শুক্লফাকে গুরুতর রক্তাক্ত আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনদিন হাসপাতালে অবস্থান করে টাকার অভাবে চিকিৎসা না করে বর্তমানে বাড়িতে মৃত্যু শয্যায় রয়েছেন শুক্লাফা।
এদিকে ধর্ষনের খবরটি মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় চাউর হলে পার্শ্ববর্তী ২/৩ টি গ্রামের ক্ষুব্দ মানুষ রাজনগর গ্রামে উপস্থিত হয়ে শামীমের বাড়িঘর ভাংচুর করেন।
এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বিষয়টি শালিসে মীমাংসা করার চেষ্টা করছেন বলে ভিকটিমের পারিবারিক সূত্র থেকে জানা গেছে।