নবীগঞ্জ প্রতিনিধি:: নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ শামছ উদ্দিন খাঁন এর বুদ্ধিমত্তা বিচক্ষণতা ও কঠোর পদক্ষেপে সুফল পেয়েছেন উত্তর নবীগঞ্জের মানুষ। নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এলাকাধীন বিভিন্ন গ্রামে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই,খুন, রাহাজানি দমনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ন্ত্রণে করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে চলেছেন ইনাতগঞ্জবাসী সহ ১,২,৪নং ইউনিয়নে মানুষের নয়নের মণি অফিসার ইনচার্জ শামছ উদ্দিন খাঁন। জনগণের জানমাল নিরাপত্তায় দিনরাত কঠোর হস্তে পরিশ্রম করে জায়গা করে নিয়েছেন উপজেলাবাসীর হৃদয়ে।
সূত্রঃ- ২০১৭ সালের দিকে নবীগঞ্জ থানাধীন ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন শামছ উদ্দিন খাঁন । দৈনিক ইনাতগঞ্জ বার্তা পরিবারের এক সাক্ষাতে জানান যোগদানের পূর্বে তিনি ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে উনার সিলেট অঞ্চলের প্রথম কর্মস্হল বলেও জানান ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ শামছ উদ্দিন খাঁন। তিনি যোগদান করার পর প্রতিবাদী কন্ঠে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে সমাজের ভিতর যত অন্যায় অবিচার, দাঙ্গা হাঙ্গামা দমানোর প্রচেষ্টা চালান এবং ধীরে ধীরে তিনি সফল হন। চিহ্নিত ডাকাতদের তালিকা সংগ্রহ করে গ্রেফতার করেন। ইদানীং বেশ কিছু দাগী আসামিকে আইনের আওতায় এনে এলাকায় বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। অনেক সময় চোর ,ডাকাত ধরতে গিয়ে হামলার শিকারও হয়েছেন।
ফলে সম্পূর্ণভাবে চুরি ডাকাতির আতঙ্ক থেকে এই এলাকার মানুষ অনেকটা শান্তিতে আছে বলে জানান এলাকার জনসাধারণ। সাধারণ মানুষ ভয় পেলেও এখন মধ্যরাতেও একা একা যে কেউ এই সড়ক দিয়ে নির্ভয়ে চলাচল করতে পারেন,মদ,জোয়ার আসর নেই বললেই চলে। এছাড়া বেশ কিছু গুরত্বপুর্ণ মামলা ও বহুল আলোচিত ঘটনার জট খোলেছে উনার দক্ষতায়। মাদক ব্যবসায়ীরাও তাদের আতঙ্কে বন্ধ করেছে অবাধ বিচরণ। জানা যায় অফিসার ইনচার্জ শামছ উদ্দিন খাঁন তার বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে অনেক বড় বড় বিরোধ এর সমাধান করেছেন সামাজিকভাবে এলাকার মানুষেকে সাথে নিয়ে।বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দিনরাত এক করে মানুষকে সচেতন করার কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। শহর থেকে গ্রামে ছুটে চলেছেন উপজেলাবাসীকে করোনা থেকে দূরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এলাকার সচেতন মহল ব্যক্তিরা জানান- এইরকম চৌখুস পুলিশ কর্মকর্তার জন্য ইনাতগঞ্জ এর মানুষ অনেকটা নিরাপদে ঘুমাতে পারছেন। সবগুলো পরিস্থিতিতেই তাদের পরিকল্পিত পদক্ষেপ মানুষকে দিয়েছে শান্তি। তাই অন্য সকল পুলিশ কর্মকর্তাদেরকেও এভাবে নিরলসভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ শামছ উদ্দিন খাঁন বলেন-আমার এখানে আসার প্রায় তিন বছর হয়ে গিয়েছে আমি চাই আমি যখন এই এলাকা থেকে বিদায় নেবো মানুষজন যেন আমার ভালো কাজের প্রসংশা করে এতেই আমি খুশি। মানুষের সেবা করার জন্যই পুলিশের পেশাটিকে বেঁচে নিয়েছি। জানিনা কতটুকু সেবা মানুষকে দিতে পেরেছি। মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারলে নিজের মধ্যে যেমন প্রশান্তি আসে তেমনি নিজেকে আরও দ্বায়িত্বশীল করে তুলি। সারা জীবন মানুষের সেবক হয়ে কাজ করতে চাই।’
তিনি বলেন- ‘করোনা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়েছে কিন্তু এটাকে আমি কষ্ট মনে করছি না। নবীগঞ্জের বিভিন্ন জায়গা থেকে এতসব মানুষ আসার পরও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পেরেছি সেটা ভাবলে ভালো লাগে। এতেই আমার তৃপ্তি আমি সারা জীবন মানুষের অন্তরে থাকতে চাই।
Leave a Reply