আশাহীদ আলী আশা( ষ্টাফ রিপোটার) :নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলের সাময়িক বহিষ্কারাদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। রবিবার(২৩ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি এম. মাহমুদ হাসান তালুকদারের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেন।ইমদাদুর রহমান মুকুলের পক্ষে রিট মামলাটি পরিচালনা করেন সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মতিন খসুরুজ্জামান।স্বপদে বহাল হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর ) সকালে গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদে এক সুধী সমাবেশ বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন দেবপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিত চৌধুরী, সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদ আলম মাহবুব,বীর মুক্তিযোদ্ধা আজমান আলী,সাবেক মেম্বার আশরাফ আলী,এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এলাকাবাসী সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল তার বক্তব্য বলেন,আমি ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছি।ছাত্রলীগ নেতা থেকে আজ আমি নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি।গজনাইপুর ইউনিয়নের একাধিক বার আপনাদের ভালবাসায় ও সহযোগীতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। চাল আত্মসাতের যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উঠেছিল এই অভিযোগের কারনে আমি ২ মাস ১৫ দিন চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার ছিলাম। আমি যদি চাল আত্মসাত করতাম তাহলে কি আমার চেয়ারম্যান পদ ফিরে পেতাম। আমি তখনও বলেছি এখনও বলতেছি আমি চাল আত্মসাত করি নাই। একটি মহল আমার নাম আমার সম্মান হানি করার জন্য আমার নামে এই আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগ করেছিল।সঠিক তদন্ত করার পর আমার নামে যে আত্মসাতের অভিযোগ ছিল তা মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে।তাই আমি আমার চেয়ারম্যানপদ ফিরে পেলাম। উল্লেখ্য,সরকারের ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা প্রণয়নে গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুকুলের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সেটি প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়। এর প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।গঠিত তদন্ত কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পেশ করে। ওই সুপারিশের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গত ৭ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পাশাপাশি চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলকে কেন এ পদ থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলের সাময়িক বহিষ্কারাদেশ স্থগিত ঘোষণা করেন।হাইকোর্টের এই আদেশের ফলে ইমদাদুর রহমান মুকুল নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে পুনরায় বহাল হলেন।
Leave a Reply