পুলিশ আজ সকাল ১০ টায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বৃদ্ধ কে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এসটিভি অনলাইনে ভাইরাল হয়।
পুলিশ এলাকাবাসী ও নির্যাতিত বৃদ্ধের পরিবারের লোকজন জানান সাত বছর আগে গোতগাঁও গ্রামের আনোয়ার আলীর মেয়ের বিয়ে হয় নবীগঞ্জ উপজেলার রাজারবাগ গ্রামের কবির মিয়ার সঙ্গে। দুই বছর তাদের মধ্যে দাম্পত্য বিরোধ দেখা দিলে একমাত্র পুত্র সন্তান কে নিয়ে মেয়েটি বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখানে এলে গ্রামের আগুর মিয়ার বখাটে ছেলে শামীম মিয়া মেয়েটির ওপর নজর দেয়। প্রায়ই স্বামী পরিত্যক্তা মেয়েকে উত্যক্ত ও কু প্রস্তাব দিত। তার অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে মেয়েটির বাবা গোতগাঁও থেকে আলীগঞ্জ বাজারে একটি কলোনিতে ঘর ভাড়া করে মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। এক মাস আগে শামীম ওই কলোনি থেকে মেয়ে কে তুলে নিয়ে যায়। কিছু দিন আটক রেখে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি নবীগঞ্জ উপজেলার অভয়নগর গ্রামে গৃহপরিচারিকার কাজ নেয়। সোমবার রাত ১২ টার দিকে শামীম তার লোকজন নিয়ে আলীগঞ্জ বাজারের কলোনিতে গিয়ে মেয়েটির খোঁজ করে। মেয়ে কে না পেয়ে তার বৃদ্ধ বাবা আনোয়ার আলী(৬৫) কে রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। খবর পেয়ে পুলিশ রাতে অভিযানে নামে।
মেয়েটির বাবা আনোয়ার আলী জানান, শামীমের অত্যাচারে মেয়ে কে নিয়ে তিনি অনেকদিন ধরে বেকায়দায় আছেন বিষয়টি স্হানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করে কোন প্রতিকার পাননি। মেয়ে কে ঘর থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে তার কাছে আটক রেখে ধর্ষণ করেছে। লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটি এখান থেকে নবীগঞ্জে গৃহপরিচারিকার কাজ নেয়। এতে শামীম ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে।
পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মখলেছুর রহমান স্হানীয় মেম্বার আলী আকবর জানান, শামীম এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে থানায় চুরি ও মাদকের মামলা রয়েছে। মেয়েটিকে উত্যক্ত করা ও জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা আমি লোকমুখে শুনেছি।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত মুসলেহ উদ্দিন জানান, আমরা নবীগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে নবীগঞ্জ থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেছি। মুল আসামি শামীম কে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply