মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, লন্ডন:
ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মুখে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন জাতিগত সংখ্যালঘুরা। ব্রিটিশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) বলছে; কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় ও অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা আনুপাতিক হারে অনেক বেশি করে এই ভাইরাসের বলি হচ্ছেন।
এরই মধ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ঘোষণা করেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। এই সপ্তাহে দৈনিক আক্রান্তের গড় সংখ্যা ৭ হাজারে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিএমএ সতর্ক করেছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই জাতিগত সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। সরকারকে এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেবার অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
বিএমএ কাউন্সিলের সভাপতি ডা. চান্দ নাগপুল নিউজ উইককে বলেছেন, ‘এপ্রিলে প্রথম ধাপের সংক্রমণের সময় যেমনটা ঘটেছিল, তেমন করেই এবারও কৃষ্ণাঙ্গ-এশিয়ান ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।’
কেন কৃষ্ণাঙ্গ ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা করোনাভাইরাসে বেশি আক্রান্ত; তা নিয়ে পাবলিক হেলথ অব ইংল্যান্ড (পিএইচই) এর আগে একটি পর্যালোচনা হাজির করেছিল। এতে দেখা যায়, শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গদের করোনায় মৃত্যুহার চারগুণ বেশি।
জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ব্রিটেনে শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের তুলনায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুরুষদের করোনায় মৃত্যুহার এক দশমিক আট গুন বেশি। শ্বেতাঙ্গ নারীদের চেয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারীদের করোনায় মৃত্যুহার বেশি এক দশমিক ছয় গুণ।
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান এ সপ্তাহে প্রকাশিত একটি সমীক্ষার ফলাফল তুলে ধরে জানিয়েছেন, ‘ব্রিটেনে করোনায় অশ্বেতাঙ্গ মানুষের মৃত্যুহার শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে ১.৯ গুণ বেশি। আর অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের তুলনায় বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিদের মৃত্যুহার প্রায় দ্বিগুণ’।
উল্লেখ্য, দুই শতাধিক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতের করোনায় মৃত্যুর তথ্য রয়েছে বিভিন্ন মাধ্যমের কাছে। সংক্রমণ বৃদ্ধির পর শনিবার থেকে লন্ডনের বাঙালি পাড়া খ্যাত টাওয়ার হ্যামলেটসে পরিবারের বাইরে কারও সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply