এম মুজিবুর রহমান:: নবীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও বন্যার্ত মানুষের মধ্যে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকট দেখা দিয়েছে। শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,উপজেলার দীঘলবাক ও ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রামের পানিতে তলিয়ে যাওয়া বাড়ী-ঘর ও রাস্তা-ঘাট থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। জনসাধারনের চলাচলের বিভিন্ন গ্রামীন রাস্তা থেকে পানি চলে গেলেও এখনো অনেকে বাড়ীঘরে পানি রয়েছে। বন্যার পানিতে অনেক কাঁচা বাঁশ-পালার টিনের ঘর বাড়ী ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ফলে এখনো আশ্রয় কেন্দ্র কিংবা আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়া বানবাসী মানুষ নিজ গৃহে ফিরতে পারেননি।
তাছাড়া বিভিন্ন বাড়ীর টিউবওয়েল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্যার্ত মানুষের মধ্য দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি সংকট। এখন পর্যন্ত ওই এলাকায় পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট বিতরন করা হয়নি। বানবাসী মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দীঘলবাক ইউনিয়নে যে পরিমান ত্রাণ দেয়া হয়েছে,তা অপ্রতুল। তবে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে এখনো কোন ত্রাণ এসে পৌছেনি বলে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে।
শনিবার বিএনপি সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়ার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং কয়েক শাতাধীক বন্যার্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দীঘলবাক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছালিক মিয়া,ইউপি বিএনপি সভাপতি আব্দুল বারিক রনি,সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিতু মিয়া সেন্টু,নবীগঞ্জ কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক অলিউর রহমান অলি,উপজেলা ছাত্রদল নেতা শেখ শিপন মিয়া প্রমূখ। তাছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply