নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : নবীগঞ্জে প্রভাবশালীদের হাত থেকে নদী রক্ষা করবে কে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে উপজেলাবাসীর। অবৈধভাবে দিনের পর দিন কুশিয়ারা নদী থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু।
নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা এলাকায় নদী থেকে বালু উত্তোলনের লঙ্কাকান্ড দেখা যায়। ঘন্টা হিসাব মজুরিতে নদী থেকে বালু উত্তোলনে কাজ করেন প্রায় অর্ধশত শ্রমিক। আর শ্রমিকরা কুদাল দিয়ে নদীর পাড় খনন করে ট্রাকে বালু তুলেন। ট্রাক প্রতি এসব বালু ৪ হাজার টাকা ধরে বিক্রি করা হয় বিভিন্ন এলাকায়।
কখনো ড্রেজারমেশিন আবার কখনো শ্রমিক দিয়ে। এভাবেই নদীতে থেকে বালু উত্তোলন করে আসছে এক শ্রেণীর লোক। এতে করে বর্ষা মৌসুম আসলে নদীর দুপাড় ভেঙে গিয়ে তীরবর্তী বসবাসরত মানুষের ঘরবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়। নদীর পাড় সংরক্ষণ করতে ব্যয় হয় সরকারের কোটি কোটি টাকা। সচেতন মহল মনে করেন বালু উত্তোলন বন্ধ করতেই পারলেই বর্ষা মৌসুমে তেমন একটা চিন্তা করতে হবে না নদীর তীরবর্তী মানুষের।
বালু উত্তোলনের কাজ করতে আসা রুকম উদ্দিন নামে এক শ্রমিক বলেন, ঘন্টা হিসাব এখানে বালু উত্তোলনে কাজ করতে এসেছি। বালু উত্তোলন করতে কে কাজ করাচ্ছেন জানতে চাইলে রুমক বলেন, কসবা গ্রামের রাসেল মিয়া, সুনাম আহমেদ, মস্তই মিয়া,সাবু মিয়া, সুমন, সুমেল মিয়ার মাধ্যমে কাজ করতে এসেছি। রুকম আরোও বলেন অনেকদিন ধরে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আসছি। আহমদ নামে আরেক শ্রমিক জানায়, কসবা গ্রামের সুমন নামে এক ব্যাক্তি তাদের মজুরি দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করাচ্ছেন।
উত্তোলনের পর এসব বালু কোথায় যায় জানতে চাইলে আহমদ বলেন, ট্রাকে তুলে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয়। নদী থেকে বালু উত্তোলন অবৈধ কাজ এমন প্রশ্নের জবাবে আহমদ বলেন, আমরা পেটের দায় কাজ করতে এসেছি। ঘন্টা হিসাব কাজ করে প্রচুর টাকা পাচ্ছি। তাই কাজ করছি।
শ্রমিকদের তথ্য অনুযায়ী উল্লেখীত ব্যাক্তিদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করেন।নদী মাতৃক দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা খবর পেয়েছি বালু উত্তোলন হচ্ছে। তাদের ধরতে অভিযান ও চালানো হচ্ছে। তবে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই তারা খবর পেয়ে যায়। আমি ধারণা করছি বিশেষ একটি মহল এর পেছনে কাজ করছে। এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply