ডেস্ক রিপোর্ট:::সম্প্রতি প্রবল বন্যায় নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের জনসাধারনের চলাচলের একটি সড়ক প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। জানা যায়,ইনাতগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ব্রীজ থেকে দিঘীরপাড় কবরস্থান,লতিবপুর,লালাপুর ভায়া প্রজাতপুর পর্যন্ত জনসাধারনের চলাচলের পাকা একটি সড়ক রয়েছে। উক্ত সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বিবিয়ানা নদী। বিগত ৫/৬বছর ধরে সড়কটিতে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।
প্রতিদিন ওই সড়কটি দিয়ে ১০/১২টি গ্রামের কয়েক হাজার জনসাধারনসহ স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। সম্প্রতি বন্যায় বিবিয়ানা নদীর পানির তীব্র শ্রোতে সড়কটি প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। আর রাস্তার পাশে দিঘীড় পাড় গ্রামের ঈদগাহটি ও ঝুকিপূর্ণ রয়েছে। বর্তমান অবস্থায় জনসাধারনদের কোন ভাবে পায়ে হেটে চলাচল করতে পারলেও রিক্সা কিংবা গাড়ী একেবারেই চলাচলে অনুপযোগী।
লালাপুর,প্রজাতপুর.লতিবপুরসহ কয়েকটি গ্রামের জনসাধারন রোগী নিয়েও ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সারাক্ষন। কারন ওই রোড দিয়ে গাড়ী চলাচল না করায় রোগী নিয়ে তারা সিলেট কিংবা উপজেলা বা জেলা সদরে যেথে পারছেননা।
প্রজাতপুর গ্রামের সৈয়দুল হোসেন বলেন,এই সড়কটি আমাদের চলাচলের এক মাত্র ভরসা। বিগত কয়েক বছর ধরে ভাঙ্গন শুরু হলেও দেখার যেন কেউ নেই। তিনি রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানান। লালাপুর গ্রামের দিলদার হোসেন বলেন,রাস্তাটি নিয়ে বড় দু:চিন্তার মধ্যে আছি। রাস্তা দিয়ে রিক্সা কিংবা যানবাহন না চলায় গুরুতর রোগী নিয়ে ইনাতগঞ্জ বাজার কিংবা জেলা বা উপজেলা সদরে যেথে পারছিনা।
লতিবপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন। প্রবল বন্যায় সড়কটি বিলীন হতে আর বাকী নাই। জরুরী বিত্তিতে যদি সড়কটি পূন:সংস্কার করা না হয় স্থানীয় গ্রাম,এলাকাবাসীসহ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পোহাতে হবে দুর্ভোগ।
ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি স্থানীয় দিঘীরপাড় গ্রামের আব্দুল আজাদ শাহজাহান বলেন,জরুরীভাবে রাস্তাটির কাজ শুরু না করলে রাস্তার পাশাপাশি কয়েকটি গ্রামের মুসল্লীদের এক মাত্র এই ঈদ গাহটি ও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তপক্ষেরে সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রশীদ-এর নাম্বারে কল দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Leave a Reply