ডেস্ক রিপোর্ট:: নবীগঞ্জ উপজলোর ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের পল্ল¬ী বিদ্যুতের গ্রাহকরা রুপালী ব্যাংক ইনাতগঞ্জ শাখায় বিদ্যুৎ বিল দিতে এসে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
এলাকাবাসী বিকেল ৪টা র্পযন্ত বিল গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন। জানা যায়, নবীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের আওতাভুক্ত ইনাতগঞ্জ এলাকার কয়েক হাজার পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক রুপালী ব্যাংক ইনাতগঞ্জ শাখায় বিদ্যুৎ বিল দিয়ে থাকেন।
গত বছর থেকে জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রােমর গ্রাহকরা এই ব্যাংকেই বিল প্রদান করে আসছেন। ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী দুপুর ১ টার মধ্যে বিল পরিশোধ করার কথা। সে অনুযায়ী প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে ব্যাংকের ভেতর থেকে বাজারের গলি পর্যন্ত ঘন্টার পর ঘন্টা গ্রাহকরা র্দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থাকেন।
কারন নির্ধারিত তারিখের মধ্যে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করলে পরবর্তী বিলের সাথে জরমিানা সহ যোগ করে দেয়া হয়। ফলে গ্রাহকদের দৌড়াতে হয় নবীগঞ্জ জোনাল অফিসে। এ জন্য গ্রাহকরা হুমড়ি খেয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থেকেও বিল পরিশোধ করতে আসেন। তাছাড়া ব্যাংকে অন্য কাজে আসা গ্রাহকদেরও ভুগান্তির শেষ নেই। র্দীর্ঘ দিন ধরে এমন অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকার হাজার হাজার মানুষ।
খোজ নিয়ে জানা গেছে ব্যাংকে দুপুর ১ টার মধ্যে বিল পরিশাধ করতে হবে,পল্লী বিদ্যুত অফিসের পক্ষ থেকে এমন কোন সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি। এ নিয়ম ব্যাংক কর্তৃপক্ষই করেছেন।
বিদ্যুৎ বিল দিতে আসা ব্যবসায়ী রামজয় রায় বলেন, দোকান বন্ধ করে বিল দিতে এসেছি। এক ঘন্টা ধরে লাইনে দাড়িয়ে আছি। এতে করে আমার ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। তিনি বিকাল ৪ টা র্পযন্ত বিদ্যুৎ বিল গ্রহণের দাবি জানান।
পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক ডাক্তার বিদ্যুত কুমার আর্চায্য বলেন, বিদ্যুৎ বিল প্রদান করতে প্রতি মাসেই এভাবে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। তিনি রুপালী ও সোনালী ব্যাংকে বিদ্যুৎ বিল গ্রহণের দাবি জানান।
দিনমজুর আব্দুর রাহমান বলেন, আজ আমার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের শেষ তারিখ। কাজে না গিয়ে বিল দিতে এসে দুই ঘন্টা ধরে লাইনে দাড়িয়ে আিছ। আমরা এই কষ্ট থেকে পরিত্রাণ চাই।
সাংবাদকি শাহ এস এম ফরিদ বলেন, জনসাধারণের কষ্ট লাঘবে অবশ্যই কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসা উচিত। অনেকেই তাদের দৈনন্দিন কাজ ফেলে বিল পরিশোধ করতে এসে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন। তিনি ও রুপালী ও সোনালী ব্যাংকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বিল গ্রহণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, নবীগঞ্জ পল্ল¬ী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ আব্দুল বারী বলেন, দপুর ১টার মধ্যে বিল নেয়ার নিয়ম না থাকলে ও ব্যাংকের অন্য কাজের চাপে ব্যাংক কর্তৃপক্ষই হয়ত এই নিয়ম চালু করে থাকতে পারেন।
Leave a Reply