কানাইঘাট প্রতিনিধি:সিলেটে জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেছেন সিলেট অঞ্চলের যেসব অনাবাদী জমি চাষ হয়না তারা মালিক পক্ষের কাছ থেকে বর্গার মাধ্যমে নিয়ে এসে চাষাবাদের আওতায় আনার জন্য গ্রাম ভিত্তিক সমবায় সমিতি গড়ে তুলার উপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।জেলা প্রশাসক এম.কাজী এমদাদুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ২টায় কানাইঘাট সাতবাক ইউনিয়নের জুলাই ভবানীগঞ্জ এলাকায় কম্বাইন হারভেস্টারের সাহায্যে উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যবধানে ৫০ একর জমিতে সমলয় চাষাবাদে বোরো ধান কর্তন উৎসবের উদ্বোধন করে প্রধান অথিতির বক্তব্যে বলেন দেশের অন্যান্য এলাকায় কোন জমি অনাবাদি থাকেনা কিন্তু সিলেট অঞ্চলে বেশির ভাগ জমি আমরা পুরপুরি ফসলের আওতায় নিয়ে আসতে পারছিনা। এর কারন হচ্ছে এখানকার বেশির ভাগ মানুষ প্রবাসে থাকেন তাদের জমি সঠিক ভাবে পরিচর্যা ও দেখা শোনা করা হয় না। সরকার এসব অনাবাদি ফসলী জমি কৃষি ক্ষেতের আওতায় নিয়ে আসার জন্য নানা ধরনের পরিকল্পনা সহ হাওর এলাকায় বাধ তৈরীর উদ্যোগ গ্রহন করছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগে যাতে করে ফসলের কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি সাধিত না হয় এবং কৃষকরা সঠিক সময়ে একেবারে কম খরচে মাঠে ধান কাটা ও মাড়াই করে তাদের ফসল ঘরে তুলতে পারেন এজন্য কৃষি মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে বড় ধরনের প্রকল্প গ্রহন করে সরকারি ভাবে ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষকদের আধুনিক ধান কাটা ও মাড়াই মেশিন দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জির সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমদ সরকারের পরিচালনায় বোরো ধান কর্তন উৎসবে বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন সিলেট কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ সালাহ উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন চৌধুরী, সাতবাঁক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান। উপস্থিত ছিলেন জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমি আক্তার, কানাইঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবিদা সুলতানা, কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তাজুল ইসলাম পিপিএম, দক্ষিন বানীগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ, দিঘীরপার ইউপির চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সাতবাঁক ইউপি আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইউপি সদস্য আব্দুন নুর, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর শামীম কামরুল, স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল হারিছ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
Leave a Reply