কানাইঘাট প্রতিনিধিঃকানাইঘাট পৌরসভার রায়গড় গ্রামের চাচাত ভাইদের হামলায় আহত প্রবাস ফেরৎ আব্দুল মতিন (৬৫) গত রবিবার বিকাল ৩ টার দিকে সিলেট মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন। গতকাল সোমবার আসরের নামাজের পর নিহত আব্দুল মতিনের যানাজার নামাজ কানাইঘাট দারুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। যানাজার নামাজে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী, কানাইঘাট পৌরসভার মেয়র লুৎফুর রহমান সহ সর্বস্তরের লোকজন শরীক হন। পরে তার লাশ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানা যায় গত ২৮ রমজান সকাল ১০টার দিকে গভীর নলকুপের পানি নিয়ে আসাকে কেন্দ্র করে আব্দুল মতিনের স্ত্রীর সাথে একই বাড়ির তার চাচাত ভাই আব্দুল মন্নান, আব্দুল জলিল সহ তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে ঝগড়া হয়। বিষয়টি ঐদিন বাদ আসর আব্দুল মতিন চাচাত ভাইদের সাথে কথা বলে সমাধান করে দেন। পরদিন ২৯ রমজান বিকাল আড়াই টার দিকে আব্দুল মন্নান, আব্দুল জলিল ও তাদের পরিবারের মহিলারা আব্দুল মতিন ও তার স্ত্রীকে গালিগালাজ শুরু করলে এতে বাধাঁ দেন আব্দুল মতিন। এতে ক্ষুব্দ হয়ে জলিল ও মন্নান আব্দুল মতিনকে শারীরিক ভাবে এলাপাতারি ভাবে মারধর করে সুপারী গাছের সাথে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এতে তিনি মাথার পিছনের দিকে গুরুত্বর আঘাত প্রাপ্ত হন। পরে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঘরে নিয়ে আসেন। পরদিন ৩০ রমজান আব্দুল মতিনের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎকগণ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। পরে আব্দুল মতিনের স্বজনরা মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার মাথায় জটিল অপারেশন করেন ডাক্তাররা। ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত রবিবার তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তার পরিবারে সদস্যরা জানিয়েছেন আব্দুল মান্নান তার ভাই আব্দুল জলিল ও পরিবারের লোকজন হামলা চালিয়ে আব্দুল মতিনের মাথায় গুরুত্বর আঘাত করে। যার কারনে মাথায় প্রচুর পরিমান রক্ত জমাট বাধাঁর কারনে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সালমান রশিদ বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় তার পিতাকে গুরুত্ব জখমের ঘটনায় ২৯ রমজান হামলাকারী ৫জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগটি পুলিশ মামলা হিসাবে রেকর্ড করে। তবে এ ঘটনার সাথে জড়িতরা বাড়ি ছেড়ে পলাতক থাকার কারনে পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক জানান আব্দুল মতিন আহতের পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে দায়েরকৃত অভিযোগ আমলে নিয়ে তাৎক্ষণিক রেকর্ড করা হয়েছে। এবং মামলার আসামীরা ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তরিত করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
Leave a Reply