নবীন,নোয়াখালী প্রতিনিধি:: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ঘর থেকে একটি চাপাতি নিয়ে ছেলের হাতে তুলে দিলেন মা। আর সেই চাপাতি দিয়ে দুই ভাই মিলে প্রতিবেশী এক প্রবাসীকে খুন করেছেন।
বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান সোহেল। এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় গোপালপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হন সোহেল। নিহত ফজলুল করিম সোহেল ও আহত আলী হোসেন (৪২) এবং নূর হোসেন (৩৮) ওই ওয়ার্ডের আতার বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, করোনাকালে লেবানন থেকে দেশে ফেরেন প্রবাসী ফজলুল করিম সোহেল। মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টির সময় পুকুর থেকে মাছ উঠে। এ সময় নিজ বাড়ির পুকুরের পাশের একটি বাঁশের ঝোপের মধ্যে মাছ ধরতে যান সোহেল। বিষয়টি দেখে সোহেলকে মাছ ধরতে বাধা দেন একই বাড়ির জয়নাল আবেদিনের ছেলে মহিন উদ্দিন।
এ নিয়ে তাদের উভয়ের মধ্যে বাকবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে যান মহিনের ভাই মনির হোসেন। এরপর মহিন ও মনির দুজনে সোহেলকে মারতে শুরু করেন। পরে মহিন ও মনিরের মা রোকেয়া বেগম ঘর থেকে একটি চাপাতি নিয়ে ছেলেদের দিলে ওই চাপাতি দিয়ে সোহেলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে তারা। খবর পেয়ে সোহেলকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তার ভাই আলী হোসেন ও নূর হোসেনকেও পিটিয়ে জখম করে হামলাকারীরা।
নিহতের স্বজনরা জানান, ঘটনাস্থল থেকে রাতে সোহেলকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পাওয়ায় তাকে মাইজদীর নোয়াখালী প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করলে বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ওই হাসপাতালে মারা যান তিনি।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মারামারির ঘটনায় নিহত সোহেলের পরিবারের পক্ষ থেকে বুধবার বিকালে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছিল। সোহেলের মৃত্যুর ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply