নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় নজরুল ইসলাম নামে এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর দায়েরকৃত চাদাঁবাজি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন দৈনিক সমকালের নবীগঞ্জ প্রতিনিধি এম এ আহমদ আজাদ।
সোমবার (২৮ জুন ) হবিগঞ্জ জেলা যুগ্ম দায়রা জজ আদালতের বিচারক শহিদুল আমিন দীর্ঘ শুনানি শেষে চাঁদাবাজি মামলা থেকে সাংবাদিক আজাদকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন এপিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন, অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন জেলা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুল ইসলাম বদরু মিয়া, অ্যাডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান।
জানা যায়, ২০১০ সালে দৈনিক সমকালসহ স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘ উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের কন্যা লুৎফা আক্তার পৃথক পরিচয়ে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী দুই ব্যক্তিকে বিয়ে এবং গোপনে ভূয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে পার্সপোট করে লন্ডন পালানো নিয়ে’ সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনার পর প্রতারণার সত্যতা পেয়ে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ঐ প্রতারনাকারী লুৎফার আর্ন্তজাতিক পাসপোর্ট বাতিল করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লুৎফা আক্তারের ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১০ সালের ৭ মার্চ আদালতে সাংবাদিক এম এ আহমদ আজাদকে আসামী করে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানি পর্যালোচনা করে সোমবার (২৮ জুন ) হবিগঞ্জ জেলা যুগ্ম দায়রা জজ আদালতের বিচারক শহিদুল আমিনের আদালত মামলার রায় প্রদান করেন। এতে চাঁদাবাজির মামলা থেকে সাংবাদিক আজাদকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
সাংবাদিক এম এ আহমদ আজাদ বলেন,আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মিথ্যা সাজানো মামলায় ১১ বছর হয়রানি করা হয়েছে। তবু আমি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার পেয়েছি। এতে আমি আদালতের নিকঠ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।
এব্যাপারে বাদী পক্ষের আইনজীবী এপিপি আব্দুল মতিন বলেন, আমি সরকারের কৌশলী হিসাবে কাজ করেছি।আদালতের কাছে সবাই ন্যায় বিচার আশা করেন।
আসামী পক্ষের অ্যাডভোকেট বদরুল ইসলাম বদরু মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন পর মামলার রায় হয়েছে। মামলায় সাংবাদিক আজাদকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ফাঁসানো হয়েছিল। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে সাংবাদিক আজাদকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। সত্যের জয় হয়েছে।
Leave a Reply