নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ॥ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. আবিদ আলীর বিরুদ্ধে প্রবাসীর কাছে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবীর অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার বিষয়ে ওই কর্মকর্তা সন্তোষজনক জবাব না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী গঠনক্রম প্রেরনের জন্য গত ২২ জুন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি)কে নির্দেশ দিয়েছেন হবিগঞ্জ জেলা রিভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর প্রতীক মন্ডল। এছাড়াও উক্ত ভুমি কর্মকর্তা আবিদ আলীর বিরুদ্ধে ঘুষ কেলেংকারীর অভিযোগের পাহাড় জমে আছে। ইতিমধ্যে আরও ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুপারিশ করেছেন সদ্য বিদায়ী সহকারী কমিশনার (ভুমি) সুমাইয়া মমিন। আরও একাধিক অভিযোগ তদন্তাধিন রয়েছে বলে জানাগেছে।
সুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেল্ াসদর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপসহকারী ভুমি কর্মকর্তা মোঃ আবিদ আলী যোগদানের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ কেলেংকারীর অভিযোগ উঠে। এর আগে তার পুর্বের কর্মস্থল চুনারুঘাটে অনিয়মের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন। পরে নবীগঞ্জে যোগদানের পর ৫০ লাখ টাকা উৎকোচ চাওয়ার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বিগত ৬ মে ওই উপ-সহকারী কর্মকর্তার বরখাস্তের আদেশ সংশ্লিষ্ট দফতরে পৌঁছায়। এ ব্যাপারে উক্ত ভুমি কর্মকর্তা আবিদ আলী যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর কারন দর্শানোর জবাব প্রেরন করেন। উক্ত জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রতীক মন্ডল ভুমি কর্মকর্তা আবিদ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী গঠনক্রম প্রেরনের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি)কে নির্দেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, নবীগঞ্জ শহরের প্রাণ কেন্দ্রে একটি টাওয়ার নির্মাণ করতে মালিকপক্ষ ২/৩ হাতের মতো সরকারী জমি ব্যবহার হয়েছে। এ জমিটি আপাতত কোনো কাজে না আসায় প্রাথমিকভাবে ভবনটি না ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. আবিদ আলী ভবন মালিককে ভাবনটি রক্ষা করার কথা বলে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। এসময় বিপণিবিতানের মালিকপক্ষ মো. আবিদ আলীর সব কথাবার্তা মুঠোফোনে রেকর্ড করেন। এ বিষয়ে মালিকপক্ষ অভিযোগ দিলে তদন্তে তা প্রমানিত হয়। এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক বিগত ২২ এপ্রিল তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
Leave a Reply