সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ লিবিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের নির্যাতনে যুবক একোয়ান ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় দুই মানবপাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীধর পাশা গ্রামের আবুল হোসেন (৫০) ও তার স্ত্রী আছমা বেগম (৪০)। রোববার ভোররাতে জগন্নাথপুর থানা পুলিশের একটি দল সিলেট ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নগদ টাকা ব্যাংকের চেক বই ও এটিএম কার্ড, ৭ টি মোবাইল ফোন পাসপোর্টসহ তাদেরকে আটক করে পুলিশ। উল্লেখ, ২০২১ সালের মার্চ মাসে জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের শ্রীধর পাশা গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে একওয়ান ইসলামকে ইতালি পাঠানোর জন্য মৌখিক ভাবে ১৯ লাখ টাকায় চুক্তি করে আসামিরা। চুক্তি মোতাবেক আসামিদের নগদ ১৫ লাখ টাকা প্রদান করেন মামলার বাদী তরিকুল ইসলাম। পরে একওয়ান ইসলাম (২৫) কে ইতালী না পাঠিয়ে লিবিয়ায় অবস্থানরত তার ছেলে আসামী আলী হোসেন ও তার আত্মীয় আসামী সালেহ আহমদ এর নিকট পাঠিয়ে দেয়। ঐসময় বাদী তার ছেলের সাথে কথা বলে জানতে পারে যে, সে লিবিয়ায় আছে এবং অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছে। একওয়ান লিবিয়ায় থাকা মানবপাচারকারীদের নির্মম নির্যাতনে সে চলতি বছরের ১৬ জুন তারিখে মারা যায়। ২৯ সেপ্টেম্বরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতায় নিহত একওয়ান ইসলামের মরদেহ গ্রামের বাড়ি শ্রীধর পাশা গ্রামে নিয়ে আসেন স্বজনরা। এঘটনায় একওয়ানের পিতা তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩ অক্টোবর জগন্নাথপুর থানায় মানবপাচার আইনে আবুল মিয়া (৫০), আছমা বেগম (৪০), লিবিয়া প্রবাসী আলী হোসেন (২৫), সালেহ আহমদ (৪৫) সহ চারজন কে আসামি করে মামলায় দায়ের করেন। ওই মামলায় দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। লিবিয়া থাকা আসামিদের গ্রেফতার করতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেয়া হবে।
সুনামগঞ্জ
১০-১০-২২
Leave a Reply