নবীগঞ্জ সংবাদদাতা:: হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী বলেছেন, আগষ্ট মাস হলো বাংলাদেশের ইতিহাসে কলংকময় মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট খন্দকার মোস্তাক চক্ররা দেশের ক্ষমতা দখলের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের ১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে দেশে কালো অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছিল। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুদা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ার।
কিন্তু ঘাতকচক্ররা তা করতে দেয়নি। খন্দকার মোস্তাকের প্রেত্বত্মারা আজো ঘামটি মেরে বসে আছে । এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে সারা দেশকে বিদ্যুতায়নের ঘোষনা দিয়েছেন। তাই আগামীতে দেশকে আরো উন্নয়নের রোলমডেলের দেশে পরিনত করতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তিনি বুধবার (১৫আগষ্ট) দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন হাসানের সভাপতিত্বে এবং পজীব কর্মকর্তা শাকিল আহমদের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট আবুল ফজল, সহ-সভাপতি নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল, সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, উপজেলা জাসদের সভাপতি মোঃ আব্দুর রউফ, ওসি আতাউর রহমান, বঙ্গবন্ধু কেন্দ্রীয় পরিষদ নেত্রী ডাঃ নাজরা চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট গতি গোবিন্দ দাশ, কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু প্রমূখ।
সকাল ১০ টায় উপজেলা চত্বরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তক অর্পন ও শোকর্যালী অনুষ্টিত হয়। সভার শুরুতে কোরআন তেলওয়াত করেন ইমাম মোঃ আব্দাল করিম। গীতা পাঠ করেন বিপুল চক্রবর্ত্তী। পরে বঙ্গবন্ধুর উপরে চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন এবং ১২ জন ঋনগ্রহীতার মাঝে যুবঋন বিতরন করা হয়।
Leave a Reply