সংবাদদাতা :কোম্পানীগঞ্জে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে আব্দুল কাহহার (৩৫) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। স্ত্রী বাবার বাড়ি গিয়ে আর ফিরে না আসায় তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার তেলিখাল ইউনিয়নের চাটিবহর মাঝপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল কাহহার ওই গ্রামের মোঃ নুর মিয়ার বড় ছেলে। তিনি চার সন্তানের জনক।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, আব্দুল কাহারের সাথে তার স্ত্রীর প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত। এক মাস আগে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যান।
রোববার বাড়িতে ফিরে আসার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন কাহহার। কিন্তু স্ত্রী আসবে না জানালে তিনি আত্মহত্যা করেন। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা নুর মিয়া জানান, এক মাস ধরে বাপের বাড়ি আছে কাহহারের স্ত্রী। রোববার সকালে বাড়িতে ফিরে আসতে কথা বলছিল সে। এর একপর্যায়ে সে রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকা হয়। তখন ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছিল সে। তাঁকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক শরীফুল ইসলাম। পরিবারের বরাতে তিনি জানান, বাপের বাড়ি থেকে স্ত্রী ফিরে না আসায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় আব্দুল কাহহার। নিজ কক্ষের ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করে। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেটের এমএজি ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
Leave a Reply