-
- জাতীয়
- দেড় মাস পর দেশের মাটিতে গ্রীস সীমান্তে মৃত্যু বরণকারী জগন্নাথপুরের হাফিজুরের লাশ।। দাফন সম্পন্ন
- আপডেট টাইম : June, 7, 2024, 10:55 pm
- 50 বার
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা :ইউরোপের দেশ আলবেনিয়া থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে গ্রিসে অনুপ্রবেশের সময় ষ্টোক করে মৃত্যুর পর আলবেনিয়ার হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকা প্রবাসী জগন্নাথপুরের মো. হাফিজুর ইসলাম (৩০) মরদেহ দেড় মাস পর গত শুক্রবার সকালে একটি ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। পরিবারের পক্ষে লাশটি গ্রহণ করা হয়।
বিকেল ৩ টায় লাশবাহী এম্বুলেন্স গ্রামের বাড়িতে এসে পৌছলে মা বাবা ও আত্মীয়স্বজনদের কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে উঠে। তাকে এক নজর দেখতে আত্মীয়স্বজনদের পাশাপাশি বন্ধু বান্ধবসহ এলাকার শতশত লোকজন ছুটে যান তার বাড়িতে।
মৃত হাফিজুরের বড় ভাই গ্রীস প্রবাসী আবিদুর রহমান বাড়িতে আসার পর শুক্রবার বাদ আছর হাফিজুরের গ্রামের বাড়ি জগন্নাথপুর উপজেলার গোতগঁও গ্রামে নামাজে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
হাফিজুর ইসলাম নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের গোতগাঁও গ্রামের আইয়ুব আলীর পুত্র।
ইউরোপের দেশ আলবেনিয়া থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে গ্রিসে অনুপ্রবেশের সময় হাফিজুর রহমান ষ্টোক করে মৃত্যু বরণ করেন। গত ২৩ এপ্রিল তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয় পরিবার। হাফিজুরের মরদেহ আলবেনিয়ার মাদার তেরেসা হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়।
জানা যায়, গত ২৯ মার্চ ওর্য়াক পারমিট ভিসা নিয়ে ইউরোপের আরেক দেশ কসোভো যান হাফিজুর। দেশটিতে কিছুদিন অবস্থান করলেও ভাষা ও পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেননি। তাই সেখান থেকে গ্রিসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ গ্রিসে তার ভাই ও আত্মীয়স্বজন রয়েছেন। সেই চিন্তা থেকে আরও কয়েকজন অভিবাসীর সঙ্গে কসোভো থেকে আলবেনিয়ায় চলে যান হাফিজুর। আলবেনিয়ায় গিয়ে দুদিন হোটেলে রাতযাপন করেন। পরে গত ২০ এপ্রিল দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে গ্রিসে প্রবেশের চেষ্টা করেন হাফিজুরসহ পাঁচ বাংলাদেশি অভিবাসী।
তবে গ্রিসে প্রবেশের সময় সীমান্তের পাহাড়ে হাফিজুর হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন বলে জানা যায়। এসময় দালাল তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে বাকি অভিবাসীদের নিয়ে গ্রিসে চলে যায়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাফিজুরকে মৃত ঘোষণা করে মরদেহ মর্গে পাঠায়।
হাফিজুরের ভাই গ্রীস প্রবাসী আবিদুর রহমান বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে ছোট ভাইকে কসোভোতে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সে কসোভো থেকে গ্রিসে আসার পথে মারা গেছে। খবরটি বিশ্বাস করতে ও কষ্ট হয়। পরে আলবেনিয়ার হাসপাতালে যোগাযোগ করে ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হই।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply