পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের আল আমিনের পুত্র স্কুল পড়ুয়া ছাত্র সারজিদ (৮) গত ৭ অক্টোবর নিখোঁজ হয়। এরপর তার পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হয়। পরে শিশু সারজিদের সন্ধানের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করা হয়। এরপর গত বুধবার ওই শিশুর বাবা ইনাতগঞ্জ আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আল-আমিন বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন,জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের গোতগাঁও গ্রামের মৃত কছর মিয়ার ছেলে ছালিম উদ্দিন (৪৫), একই গ্রামের মৃত আব্দুর শহিদের ছেলে জনি (২৫) ও রানীগঞ্জ ইউনিয়নের বাগময়না গ্রামের মৃত আব্দুল নওয়াফের ছেলে সোহাগ মিয়া (২৫)। পুলিশ বৃহস্পতিবার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করেছে।
এরি মধ্যে গতকাল শুক্রবার সন্ধায় এলাকার কয়েকজন লোক উমরপুর চরগাঁও গ্রামের মধ্যেবর্তী হাওরে শিশু সাজিদের মৃত দেহ দেখতে পেয়ে তার স্বজনদের খবর দেন। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
জগন্নাথপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দ লাশ উদ্ধারে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৭ অক্টোবর) শিশু সারজিদ তার খেলার সাথীদের সঙ্গে বাড়ির পাশে আলীগঞ্জ সেতুতে খেলাধুলা করতে যায়। ওই সময় অভিযুক্তরা ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক (মিশুক) যোগে নৌকা বাইছ দেখানো কথা বলে শিশু সারজিদসহ চার শিশুকে নিয়ে যায়। পরে নৌকা বাইছ দেখা শেষে জনি ও সোহাগ একই স্থানে সারজিদের সাথী তিন শিশুকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। তবে শিশু সারজিদ ও অভিযুক্ত ছালিম উদ্দিন আর ফিরে আসেনি।
ঘটনার পরদিন সারজিদের বাবা বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্ত জনি ও সোহাগকে স্থানীয় আলীগঞ্জ বাজারে তাঁর ছেলের বিষয় জানতে চাইলে, তারা কোন উত্তর দেননি। এ সময় স্থানীয়রা জনি এবং সোহাগকে মারধরও করেন।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যেরও সৃষ্টি হয়েছে। মৃতের বাবা ও এলাকাবাসী এ হত্যা কাণ্ডের সাথে জড়িত পাষণ্ডদের ফাঁসির দাবি করেন।
Leave a Reply