নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ আশ্রয়ন কেন্দ্রের বাসিন্দা নির্মম খুনের শিকার শিশু সারজিদের দাফন সম্পন্ন

সংবাদদাতা :নবীগঞ্জে নৌকা বাইচ দেখানোর কথা বলে অপহরণের ৪ দিন পর মর্মান্তিক খুনের শিকার ইনাতগঞ্জ উমরপুর গ্রামের আশ্রয়ন কেন্দ্রের বাসিন্দা আল আমিনের পুত্র সারজিদ(৮) এর মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে দাফন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বাদ আছর ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের দিঘীর পাড় ঈদগাহ মাঠে জানাজা নামাজ শেষে গ্রাম্য কবর স্থানে তাকে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়।
অপহরণের ৪ দিন পর গত শুক্রবার সন্ধায় স্থানীয় উমরপুর গ্রামের উত্তরে একটি ফিসারীর নিকটে ধান ক্ষেত থেকে সারজিদের মরদেহ উদ্ধার করে জগন্নাথপুর থানার পুলিশ।
 শিশুটির হত্যাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা অবিলম্বে খুনের প্রকৃত রহস্য উদ্‌ঘাটন ও খুনিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৭ অক্টোবর) জগন্নাথপুর উপজেলার উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের গোতগাঁও গ্রামের মৃত কছর মিয়ার ছেলে ছালিম উদ্দিন (৪৫), একই গ্রামের মৃত আব্দুর শহিদের ছেলে জনি (২৫) ও বাগময়না গ্রামের মৃত আব্দুল নওয়াফের ছেলে সোহাগ মিয়া (২৫) ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক (মিশুক) যোগে নৌকা বাইছ দেখানো কথা বলে শিশু সারজিদসহ চার শিশুকে নিয়ে যায়। পরে নৌকা বাইছ দেখা শেষে জনি ও সোহাগ একই স্থানে সারজিদের সাথী তিন শিশুকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। তবে শিশু সারজিদ ও অভিযুক্ত ছালিম উদ্দিন আর ফিরে আসেনি।
ঘটনার পরদিন সারজিদের বাবা বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্ত জনি ও সোহাগকে স্থানীয় আলীগঞ্জ বাজারে তাঁর ছেলের বিষয় জানতে চাইলে, তারা কোন উত্তর দেননি। এ ব্যাপারে শিশু সারজিদের পিতা আল আমিন জগন্নাথপুর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ উল্লেখিত ৩ জনকে গ্রেফতার করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করে।
জগন্নাথপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান শিশু সারজিদ হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত তারা কেউ রেহাই পাবেনা। সৃষ্ট তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা