অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে । এদিকে আল্টিমেটাম দেওয়ার এক ঘন্টা পরেই খবর আসে অধ্যক্ষের লাশ পাওয়া গেছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে। কলেজ অধ্যক্ষের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তার মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তার মৃত্যুর নেপথ্যে রহস্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
এর পূর্বে আন্দোলন কারী ছাত্র ছাত্রীদের অধ্যক্ষের স্ত্রী জানান তিনি গতি দুই দিন যাবৎ নিখোঁজ কিন্তু ছাত্র ছাত্রী বিস্বাস করেননি। ফলে তাদের চাপে পড়ে কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন লিখিত ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাশ অনুপ কে বলেন, দুই দিন ধরে অধ্যক্ষকে পাওয়া যাচ্ছে না।পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া জন্য।
এদিকে নিখোঁজের দুইদিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নবীগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুর রহমানের মরদেহ পাওয়া গেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অজ্ঞাত নামা লাশের ছবি প্রকাশ হয়। গতকাল রবিবার সন্ধা ৭ টার দিকে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন নিশ্চিত করেন এটা নবীগঞ্জ সরকারি কলেজ এর অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান লাশ পাওয়া গেছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এর আগে গত ১৮ অক্টোবর শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি
পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১৮ অক্টোবর শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া তার বোনের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তিনি। এরপর থেকে তার সন্ধ্যান মিলছে না। এব্যাপারে গতকাল সকালে তার স্ত্রী সৈয়দা সুলতানা আক্তার বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ জিডি এন্ট্রি করেন।
পুলিশ সুত্র জানায়, অধ্যক্ষকে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অজ্ঞাত অবস্থায় চিকিৎসাধীণ অবস্থায় গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
খবর পেয়ে শাহবাগ থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
সকালে থেকে নবীগঞ্জ সরকারি কলেজ ঘেরাও করে তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে ছাত্র ছাত্রীরা এসময় তার স্ত্রী সৈয়দা সুলতানা আক্তার জানান, গত ১৮ অক্টোবর শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বোনের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়ার পর থেকেই তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর গতকাল রবিবার সকালে কলেজে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকগণকে বিষয়টি অবগত করেন তিনি। পরে নিখোঁজের বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়।
কিন্তু আন্দোলনের সময় অধ্যক্ষ কলেজে উপস্থিত ছিলেন না। রবিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কলেজ প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে অধ্যক্ষকে কলেজে হাজির করার দাবীতে সকল শিক্ষকদের তালাবদ্ধ করে রাখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, রবিবার অনার্স ১ম বর্ষের ভর্তির ফি নিয়ে পূর্বনিধারিত ছাত্র শিক্ষক বৈঠক হবার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আজ কলেজে আসেন নি। এ খবর সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে অধ্যক্ষকের পদত্যাগের দাবীতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে। সর্বশেষ কলেজে অনার্স ১ বর্ষে ভর্তির জন্য মাসিক ৫০০টাকা করে ৬ মাসের অগ্রিম বেতনসহ সর্বমোট ৮ হাজার টাকা নিচ্ছেন। এদিকে, কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে অধ্যক্ষ না আসার কারণ ও অনার্স ১ম বর্ষের ভর্তি ফি কমানোর বিষয়ে জানতে চান। কিন্তু শিক্ষকরা অধ্যক্ষকের অনুপস্থিতিতে কোন সিদ্ধান্ত দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে শিক্ষকদের তালাবদ্ধ করে রাখে। প্রায় ১ঘন্টা পর শিক্ষকরা অনার্স ১ম বর্ষের ভর্তির ফি কমানো আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা তাদের মুক্ত করে দেয়।
গত বৃহস্পতিবার প্রায় দেড় ঘন্টা নিজ কার্যালয়ে অধ্যক্ষকে তালাবদ্ধ করে রাখেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ ও শিক্ষকরা এসে তালা খুলে অধ্যক্ষকে মুক্ত করে।
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে তিনি নবীগঞ্জ সরকারী কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন ফজলুর রহমান।
এদিকে নবীগঞ্জ সরকারি কলেজ এর অধ্যক্ষের মৃত্যুর বিষয় টি নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন কি কারণে মৃত্যু হয়েছে এর সঠিক কারণ জানা যায়নি।
Leave a Reply