গত মঙ্গলবার সন্ধায় র্যাব ৯ এর একটি আবিধানিক দল চুনারুঘাট উপজেলার নতুন ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত হাবিবুর নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের লতিবপুর গ্রামের লিলফর মিয়ার পুত্র। রাতেই তাকে জগন্নাথপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,গত ২৮ অক্নটোবর বীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের পুত্র নুরকাছ,দিদার,কামরুল ও তার সহযোগীদে সাথে নিহত সোহানের তুচ্চ বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা ও মারামারি হয়। এক পর্যায়ে সোহান মারামারিতে টিকে থাকতে না পেরে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে নুরকাছ ও তার সহযোগীরা সোহানকে ইনাতগঞ্জ বাজারের গলিতে ফেলে প্রকাশ্যো দাড়ালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষত বিক্ষত করে। এক পর্যায়ে সোহান মাটিতে লুটিয় পড়লে নুরকাছ গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার দিয়ে সজোরে সোহানের বুকে আঘাত করে। এরপরই তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। সোহানকে বাঁচাতে অপর দুজন এগিয়ে আসলে তাদেরকে ছুরিকাত করা হয়।
আহতদের মধ্যে গুরুতর সোহানকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। অপর আহত নুর আলমের পুত্র মোসাদ্দেক আলমের ছুরির আঘাতে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখনো সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত সোহানের পিতা গত লতিবপুর গ্রামের ইমান উদ্দিনের পুত্র দিদারকে প্রধান আসামী করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী সিরাজ উদ্দিন বলেন,আমার একমাত্র ছেলে ছিল পরিবারের ভরসার জায়গা। একমাস পূর্বে সৌদিআরব থেকে এসে মাত্র ১১ দিন হয় সে বিয়ে করেছিল। স্ত্রীসহ সে লন্ডনে যাওয়ার সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্ত ঘাতকরা আমার ছেলেকে চিরদিনের জন্য বিদায় করে দিলো। তিনি সকল ঘাতকদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন,হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় একজন গ্রেফতার হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
Leave a Reply