ডেস্ক রিপোর্ট ::বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানি করতে ঢাকা থেকে আসা আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ আদালতে আবেদন জমা দিলেও শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সাইফুল ইসলামের আদালতে আবেদন জমা দেন তিনি। আবেদন নথিভুক্ত করে ২ জানুয়ারি ধার্য শুনানির জন্য রেখেছেন আদালত। এর আগে রবীন্দ্র ঘোষ কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আসেন।
আবেদন জমা দেওয়ার পর রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, আমি গত বুধবারও এসেছিলাম। বৃহস্পতিবার আবেদন নিয়ে আসলেও শুনানি হয়নি, এটা দুঃখজনক। আবেদনটি নথিতে রেখেছেন। আরও কিছু আইনজীবীকে অপরাধ মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমি তাদের সহায়তা করতে এসেছি। অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। তাই ভয়ে আসছেন না। পরিবেশ ভালো ছিল। তবে বুধবার হেনস্তা হতে হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঢাকা থেকে মামলা পরিচালনা করতে আসলেও চট্টগ্রাম বারের ওকালতনামা দেওয়া কেউ হাজির ছিলেন না। রবীন্দ্র ঘোষের আবেদনের শুনানি হয়নি। বারের পক্ষ থেকে ওনাকে যতটুকু নিরাপত্তা বা সহযোগিতা দরকার ছিল আমরা তা করেছি।
সাবেক চট্টগ্রাম মহানগর পিপি আবদুস সাত্তারের দাবি, চিন্ময়ের মামলার শুনানি করতে ঢাকা থেকে রবীন্দ্র ঘোষ আসেননি। তিনি রাজনীতি করতে এসেছেন। তাকে কোনো আইনজীবী হেনস্তা করেননি, অথচ তিনি অভিযোগ তুলছেন।
আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার রবীন্দ্র ঘোষের সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরীসহ সিনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় আইনজীবী না থাকায় ঢাকায় ফিরে যান চিন্ময়ের পক্ষে লড়তে আসা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ।
এর আগে ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন নাকচ করে চিন্ময় দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রাম আদালত। গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠে জনসভার পর ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়।
২৫ নভেম্বর বিকালে ঢাকার শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয়।
সূত্র : সমকাল।
Leave a Reply