নোয়াখালী থেকে নবিন ::বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দলছুট নেতাদের ঐক্যফ্রন্টে ভিড়িয়ে বিএনপির ভাঙ্গা হাট জমেনি বরং দূর্বল হয়েছে এবং জনসমর্থন কমেছে। শুধু কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট বা নোয়াখালীতে নয়, সারা দেশেই নৌকার জোয়ার বইছে। দলছুট ও জনবিচ্ছিন্ন নেতারা যতই বিএনপির সাথে হাত মিলিয়ে অপতৎপরতা চালাক, কোন লাভ হবে না। তারা তাদের ভাঙ্গা হাট আর জমাতে পারবেনা।
তিনি মঙ্গলবার সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সল আহমেদ এর কাছে তাঁর নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট) মনোনয়নপত্র জমা শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবী বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের ১ মাস পূর্বে এ ধরণের দাবীর অর্থ হল নির্বাচন নয়, নির্বাচন বানচাল করা। এসময় ওবায়দুল কাদের ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তিনি গতকাল দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শো-ডাউন করে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্গন করেছেন। কিন্তু আমি তা করিনি। আমি আমার ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে এখানে এসেছি। সরকারী কোন কিছুই ব্যবহার করিনি। এটা কি লেভেল প্লেইং ফিল্ড নয় ?
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইনশাআল্লাহ ৩০ ডিসেম্বরে নৌকা ভাসতে ভাসতে বন্দরে পৌঁছাবে। তিনি আরো বলেন, বিএনপির মনোনয়ন প্রদান অনুষ্ঠানে তাদের দলীয় মহাসচিবের কান্নাই প্রমান করে তারা জনবিচ্ছিন্ন। তাদের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায়।
এসময়, ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো: সাহাব উদ্দিন, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হক নাজিম, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নূর নবী চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নুরুল আমিন রুমি, সাধারণ সম্পাদক ও কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদ উল্লাহ খান সোহেল ও স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply