নোয়াখালী থেকে নবীন:: নোয়াখালীর সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নে মো. হানিফ (২৪) নামের এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। ঘটনায় নুরুল ইসলাম (২৭) নামের আরো এক কর্মী আহত হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কাজীপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মো. হানিফ দক্ষিণ শুল্লকিয়া গ্রামের মফিজ উল্যার ছেলে। সে এওজবালিয়া ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
এঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ও নোয়াখালী-৪ সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আজ সকাল থেকে জামায়াত বিএনপির নেতারা বিভিন্ন স্থানে তান্ডবলীলা চালিয়েছে। প্রথমে নোয়াখালী-৫ আসনের কবিরহাটে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উপর হামলা চালিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল’সহ আমাদের দলের নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আব্দুল জলিল, ইসমাইল’সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
পরে, তারা দত্তের হাট বাজার এবং করিমপুরের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে। এরপর, বিকাল পোনে ৫ টায় এওজবালিয়া ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান এর নির্দেশে এবং জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রিজভির নেতৃত্বে ২০০ থেকে ২৫০ জন পাকিস্তান ও তাদের দোসর জামায়াত কায়দায় অতর্কিত মো. হানিফের চোখে-মুখে মরিচের গুড়া মেরে এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার শরীরের উপর নেচে মৃত্যু নিশ্চিত করে পায়ে গুলি করে। তিনি এই হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিচারের দাবী করেন।
আসনটির ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, বিকেলে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুর রহিম রিজভীর বাড়ীতে উঠান বৈঠক চলছিল। পরে স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে তাতে হামলা চালায়। এসময় তারা ককটেল বিষ্ফোরণ করে। তবে যুবলীগ নেতা হানিফ কিভাবে নিহত হয়েছে তিনি জানেন না বলে জানান।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আজিম জানান, তার দুই পায়ে গুলি ও মাথা’সহ শরীরে আঘাতের চিহৃ রয়েছে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply