নিজস্ব প্রতিনিধিঃ: হবিগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব দেওয়ান গাজী মোঃ শাহনওয়াজ (মিলাদ গাজী) নবীগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে । এ সময় তিনি তাঁর নির্বাচনী পরিকল্পনা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। গতকাল শুক্রবার সকালে আলহাজ্ব দেওয়ান গাজী মোঃ শাহনওয়াজ মিলাদ গাজীর নবীগঞ্জ ওসমানী সড়কস্থ তার নির্বাচনী কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তিনি বলেন নির্বাচিত হলে কি কি পরিকল্পনা রয়েছে তা সাংবাদিকদের কাছে বর্ণনা করেন। নবীগঞ্জ-বাহুবলবাসীর প্রাণের দাবি ঘরে ঘরে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ পৌছে দিবেন। এ দাবি বাস্তবায়নে সর্বাত্তক চেষ্টা চালিয়ে যাব এবং নবীগঞ্জ-বাহুবলকে দুইটি মডেল উপজেলায় রূপান্তর করতে চাই।
নারী শিক্ষা উন্নয়নে দুটি উপজেলায় দুটি মহিলা কলেজ স্থাপন করব। বিবিয়ানা গ্যাস ব্যবহার করে অত্র এলাকায় একটি সার কারখানা স্থাপন করার চেষ্টা করব। আমি নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম মুক্তিযাদ্ধাদের অগ্রাধিকার দেব। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বঞ্চিত সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত করে তাদের ভাতা দেওয়া নিশ্চিত করব। তিনি আরো বলেন,আপনারা জানেন আমার নির্বাচনী এলাকা এখনো শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আসে নাই। তাই আমি প্রথমেই উক্ত আসনে অতি দ্রুত শতভাগ বিদ্যুতায়নের চেষ্টা করব।
প্রধানমন্ত্রীর গ্রাম হবে শহর এই ঘোষণার আওতায় নবীগঞ্জ-বাহুবল এলাকায় ইতোমধ্যে ইকোনোমিক জোন ঘোষণা করা হয়েছে। তা বাস্তবায়নের চেষ্টার পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে আরও বেশী বেশী কলকারখানা যাতে গড়ে উঠে সেই চেষ্টা করব। সিলেট বিভাগে নবীগঞ্জ-বাহুবল শিক্ষা ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। তাই শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও মান উন্নয়নে স্কুল, কলেজ ও টেকনিকেল ইন্সটিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ নেব। আমার নির্বাচনীয় এলাকায় ৭টি চা বাগান রয়েছে। এসব বাগানে কর্মরত আছে বিপুল সংখ্যক চা শ্রমিক। এদের শিক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করব।
নবীগঞ্জ-বাহুবলে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠতে বিভিন্ন শিল্প কারখানা ফলে এতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এসব শিল্প কারখানায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থানীয় বেকার শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। আমার নির্বাচনী এলাকায় গরীব ও মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে সরকার ঘোষিত বৃত্তি ও ভাতা প্রদান ছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে বৃত্তি ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করব।
তিনি বলেন বর্তমানে বাংলাদেশে দুটি পক্ষ হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে রাজনৈতিক সংগঠনগুলো। একটি হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের শক্তি অপরটি হচ্ছে রাজাকার আলবদর সহ মুক্তিযোদ্ধের বিপক্ষের শক্তির সাথে জোট। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেত্রীত্বে গঠিত মহাজোটের নেতৃত্ব দানকারী আওমীলীগের মনোনীত প্রার্থী। আমার বাবা আলহাজ্ব দেওয়ান ফরিদ গাজী হবিগঞ্জ-১ আসনে বারবার নির্বাচিত সাংসদ ছিলেন। আমি তার সাথে এই এলাকার উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি। আমি আমার বাবার অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজকে নির্বাচিত হয়ে সমাপ্ত করতে চাই ।
তিনি আরো বলেন, ডিসেম্বর মাস মহান বিজয় দিবসের মাস। তাই আমি আমার বক্তব্যের শুরুতেই স্মরণ করছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের। আমি আরও স্মরণ করছি মহান মুক্তিযোদ্ধাদের যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌমত্বের এই বাংলাদেশ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের উন্নয়নে মহা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এই পরিকল্পনায় আমি একজন সহযোদ্ধা হিসাবে অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে এদেশকে এগিয়ে নিতে উনি মহা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। আমি উনার সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সর্বাত্তক চেষ্টা চালিয়ে যাব।
এসময় সাংবাদিকদের মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান এড.আলমগীর চৌধুরী,নবীগঞ্জ চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ইজাজুর রহমান, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল,নবীগঞ্জ পৌর সভার প্যানেল মেয়র এটিএম সালাম, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুল জাহান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল,নবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজাহিদ আলম, সহ সভাপতি মুহিবুর রহমান আকল, সাধারন সম্পাদক নির্মলেন্দু দাশ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক ওহি দেওয়ান চৌধুরী, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ইকবাল আহমদ বেলাল,আওয়ামীলীগের নেতা ইউপি মেম্বার আব্দুল মুকিত প্রমূখ।
Leave a Reply