সংবাদদাতা: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওয়াসিম আব্বাসের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রোববার বাদ জোহর তার গ্রামের বাড়ী নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের রুদ্র গ্রামে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। জানাযায় হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ,নবীগঞ্জ-বাহুবলের সার্কেলের সিনিয়র পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল,ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ জাবেদ,আবু সিদ্দিকসহ ওয়াসিমের আত্মীয়স্বজন,সহপাঠি ও সামাজিক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিতির ছিলেন। এর আগে শনিবার রাতে তার মরদেহ ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওয়াসিমের লাশ তার গ্রামের বাড়ী নবীগঞ্জে এসে পৌছলে এ সময় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়।এ সময় পাড়া প্রতিবেমী আত্মীয়স্বজন কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। এক মাত্র ছেলেকে হারিয়ে ওয়াসিমের মা বাবা পাগল প্রায়। ওয়াসিমের মা ডা: নীলা পারভিন বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। ওয়াসিমের বাবা আবু জায়েদ নির্বাক। কান্না যেন কোন ভাবেই থামছেনা।পারিবারিক সূত্র জানায় ,এঘটনায় মামলার ব্যাপারে আলোচনা করে সীদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ থেকে সিলেট অভিমুখী উদার পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-ভ-১৪-১২৮০) সিকৃবির ১১ শিক্ষার্থী আউশকান্দি থেকে উঠছিলেন। তারা শেরপুর এসে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য নেমে পড়েন। এ সময় ভাড়া নিয়ে বাসের চালক ও হেলপারের সাথে তাদের বাগবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে ভাড়া পরিশোধ করে তারা বাস থেকে নেমে আসছিলেন। ওয়াসিম ছিলেন সবার পেছনে। তিনি বাস থেকে নামার আগেই তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় বাসের হেলপার মাসুক আলী। এরপর বাসের চালক বাসের স্পিড বাড়িয়ে দেন। বাসটি ওয়াসিমের শরীরের ওপর চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত ওয়াসিমকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ঘোরি মো. ওয়াসিম আফনান সিকৃবির বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের রুদ্র গ্রামের ঘোরি মো. আবু জাহেদ মাহবুব ও ডা. মীনা পারভিন দম্পতির এক মাত্র পুত্র।
Leave a Reply