ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ কয়েকদিনের বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র কাটাখালী ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও বিস্তীর্ণ চর এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বেড়ে গেছে স্রোতের তীব্রতা। এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।
আগাম বার্তায় জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোড আগামী সপ্তাহে গোটা জেলা জুড়ে প্লাবিত হয়ে বন্যায় রুপ নিবে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া, হরিপুর, চন্ডিপুর, বেলকা, তারাপুর, কঞ্চিবাড়ি ও শ্রীপুর ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ী, বেলকা, ছয়ঘড়িয়া, পূর্ব লালচামার চরের বিভিন্ন এলাকা এবং সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, পালপাড়া, চিনিরপটল, চকপাড়া, পবনতাইড়, থৈকরপাড়া, বাশহাটা, মুন্সিরহাট, গোবিন্দি, নলছিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। পানির তীব্র স্রোতের কারণে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের ১০টি স্থানে ও সদর উপজেলার কামারজানী ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে নদী ভাঙন বেড়েছে।
পুরা সপ্তাহ জুড়ে ৫০টি পরিবারের বাড়িঘরসহ আসবাবপত্র নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় এলাকার লোকজনের মাঝে বন্যার আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং অনেকে বাড়ী ছেড়ে বাধে ঠাই নিয়েছে।
ইতোমধ্যে সদর উপজেলার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় নদী ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। নদীর পানি বাড়ায় বন্যা মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত আছে বলেও তিনি জানান।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ২৫ সেন্টিমিটার, তিস্তা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার, কাটাখালী নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
এভাবে পানি বৃদ্ধির ফলে আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এর ফলে মাঝারি ধরনের বন্যা দেখা দিতে পারে। পানি বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করা হচ্ছে ।
Leave a Reply