নোয়াখালী প্রতিনিধি :
ভৌগলিক বাস্তবতা ও স্থানীয় চাহিদা এবং বিদ্যমান সম্পদ বিবেচনা করে জেলা এবং উপজেলা জন্য বাৎসরিক পুষ্টি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা গেলে জনগণের জীবনের মান উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। বুধবার নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সিএসএ ফর সান-এর সহায়তার উন্নয়ন সংগঠন বন্ধন ও পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যাকশান- প্রান আয়োজিত ‘স্থানীয় র্পায়ে ন্যায়সঙ্গত, কার্কর ও মানসম্মত পুষ্টিসেবা নিশ্চিতকরণ’ শীষক গণশুনানিতে অংশগ্রহণকারীরা এই মতামত ব্যক্ত করেন।
গণশুনানীতে বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধি এবং সরকারি পরিসেবা প্রদানকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে গণশুনানীতে প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মোমিনুল হক। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেন নোয়াখালী সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আইয়ুব খান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার লক্ষ্মী রাণী শীল, সেভ দ্যা চিলড্রেনের উপপরিচালক ছালাউদ্দিন, এফপিএবির জেলা কর্মকর্তা ডাঃ নুরুল আলম, বন্ধনের পরিচালক আমিনুজ্জামান মিলন ও সিএসএ ফর সানের সমন্বয়কারী হাবিবুর রহামান।
গণশুনানীতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত জনগোষ্ঠির পুষ্টিসংক্রান্ত সমস্যার কথা তুলে ধরেন। শুনানীতে বলা হয়- মা, কিশোরী ও শিশুসহ বঞ্চিত জনগোষ্ঠির অপুষ্টি প্রতিরোধ এবং অবস্থার উন্নতির জন্য সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তরের কাজের মধ্যে পুষ্টি বিষয়ক কর্মসূচিকে সমন্বিত করা, মানসম্মত খাদ্য ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস নিশ্চিত করা, দুর্গম এলাকায় বিশেষ পুষ্টি কার্যক্রম গ্রহণ এবং সচেতনতা তৈরি করা, কৃষি এবং খাদ্য বৈচিত্র্য নিশ্চিত করা, সরকার গৃহিত বিভিন্ন কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং সকল ধরণের পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে স্থানীয় মানুষের চাহিদানুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণের কথা বলেন।
আলোচনায় অংশ নেন ইউপি সদস্য রৌশন আক্তার লাকী, কেন্দ্রিয় কৃষক মৈত্রীর সভাপতি মনির আহম্মদ, কৃষাণী নাজমা বেগম, উন্নয়নকর্মী নুরুন্নাহার রিনি, মিঠুন মজুমদার সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান, শিক্ষক লায়লা পারভীন, কিশোরী কামরুন নাহার, গৃহিনী মমতাজ বেগম প্রমুখ।
Leave a Reply