হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জে স্বামীর বাড়ি থেকে দুই সন্তানের জননী মিনু বেগম নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্বজনদের দাবি মিনু বেগমকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করে হত্যা করেছে। অপর দিকে স্বামীর লোকজনদের দাবি নিহত মিনু বেগমের মৃগী রোগ ছিল সে কারণে পানি ডুবে মারা গেছে।
তবে পুলিশ বলছে ময়না তদন্ত ছাড়া মিনুর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে না। পুলিশ সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতানসী গ্রামের মৃত মরম উল¬াহ কন্যা মিনু বেগম (২৮)কে প্রায় ১০ বছর পূর্বে পাশ্ববর্তী শরীফপুর গ্রামের সৈয়দ আলী ছেলে আহমদ আলীর কাছে বিয়ে দেন। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবন ভালই চলছিল। এর মধ্যে মিনু বেগমের গর্ভে ১কন্যা ও ১পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
মিনু পরিবারের দাবি ৩বছর পূর্বে আগুনে পুড়ে তার শরীর জলছে যায়। এরপর তার শরীরের সুন্দর্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আহমদ আলী তাকে নির্যাতন করতো আরেকটি বিয়ে করার অনুমতি দেয়ার জন্য। বৃহস্পতিবার বিকেলে মিনু পরিবারের লোকজন সংবাদ পান সে পানিতে পড়ে মারা গেছে। তারা গিয়ে দেখেন স্বামীরা বাড়ির লোকজন লাশ দাফনে প্রস্তুতি নেয়। এসময় লাশ দেখে তাদের সন্দেহ হলে দাফন না করার জন্য বাধা দেন।
সারাদিন ভর নিহত মিনুর লাশ বাড়িতে থাকার পর রাত ১২টা দিকে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, নিহতের স্বামীর বাড়ি লোকজনের দাবি মৃগী রোগী আক্রান্ত ছিল। এ কারণে পানিতে পড়ে মারা গেছে। অপর দিকে নিহতের স্বজনদের দাবি স্বামী ও স্বজনরা নির্যাতন করে তাকে হত্যা করেছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগ পর্যন্ত মিনু বেগমরের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে না।
Leave a Reply