আশাহীদ আলী আশা/ মতিউর রহমান মুন্না/বুলবুল আহমেদ: নবীগঞ্জে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রতি মন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেনের সামনে স্থানীয় এমপি শাহনওয়াজ গাজী মিলাদ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরীর মধ্যে বাকবিত-া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার উমরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর পাশে দাড়ানো নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
জানা যায়, গতকাল দুপুরে উমরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রতি মন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন আসেন। তিনি বিদ্যালয়ের প্রবেশের সময় স্থানীয় নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে বরণ করেন। ফিতা কাটতে তিনি নাম ফলকের দিকে এগিয়ে আসলে পাশে দাড়ানো নিয়ে স্থানীয় এমপি শাহনওয়াজ গাজী মিলাদ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরীর মধ্যে বাকবিত-া হয়। এসময় পিছন থেকে দেবপাড়া ইউপি সদস্য শিবলু আহমদ এসে ধাক্কাধাক্কি শুরু করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অনুষ্ঠানস্থলে উত্তেজনা দেখা দিলে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এসব ঘটনার ফাঁকে প্রতি মন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন ফিতা কেটে নব-নির্মিত একাডেমীক ভবনের উদ্বোধন করেন। পরে আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
এ সময় তিনি বলেছেন, শিক্ষাবান্ধব সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেধাবী জাতী গঠনে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। আকর্ষণীয় করে সাজানো হচ্ছে ক্লাস রুম। আনন্দঘন পরিবেশে পাঠদান নিশ্চিত করতে সরকারের এতসব আয়োজন। বাংলাদেশের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্টান ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থাকবে না। বাংলাদেশের যে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আছে, তার তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট লেষ্টার আওয়ামীলীগের সভাপতি সৈয়দুর রহমান সাঈদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহনওয়াজ মিলাদ গাজী, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য জহুরা আলাউদ্দিন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন-হাসান, নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেত্রী ডাঃ নাজরা চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গতি গোবিন্দ দাশ, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল, মুজিবুর রহমান কাজল, জেলা পরিষদ সদস্য এড. সুলতান মাহমুদ, ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন, প্যানেল চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি এন আলী এহিয়া প্রমূখ।
Leave a Reply