সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::সুনামগঞ্জে আগেই ঘোষণা হয়েছিল ২৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে নদ নদী, খালবিল ও জলাধারের তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান। ঘোষণায় এও বলা হয়েছিল যে, নিজ দায়িত্বে এর আগে এসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে। জেলা প্রশাসনের এমন কঠোর ঘোষণার পরও যারা স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি তাদের উচ্ছেদে সোমবার থেকে উপজেলা প্রশাসন নেমেছে অভিযানে। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বড়পাড়া এলাকায় সকাল ১১টা থেকে সুরমা নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ ৯টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। এ সময় শ্রমিকরা হাতুড়ি-শাবল দিয়ে স্থাপনাগুলো গুড়িয়ে দেয়ার অভিযান চলে দিনভর। জেলার মোট ৫টি উপজেলায় একযোগে চলে উচ্ছেদ অভিযান। এরা বহু বছর যাবত নদীর তীর দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করায় পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়ে আসছিল। এবং পরিবেশের ক্ষতি ডেকে এনেছিল বছর বছর। গতকাল জলাধার নিকটবর্তী এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করায় জন জীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। অভিযান পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক এমরান হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোখলেছুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটি) হারুনুর রশিদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমা, সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা কাজী শামসুল হুদা সোহেল, তহশিলদার কামাল হোসেন, সাব্বির আহমদ প্রমুখ। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোখলেছুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জলাধারে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। জলাধারের তীরে স্থাপনা গড়ে উঠায় পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। এবং ফসলি জমিতে বছর বছর জলাবদ্ধতা লেগে থাকে। যতক্ষন পর্যন্ত সব স্থাপনা উচ্ছেদ না হবে ততদিন পর্যন্ত প্রশাসনের এই উচ্ছেদ অভিযান চলবে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ১০ প্রকল্পের একটি প্রকল্প হচ্ছে নদ-নদী ও জলাধার থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে পানির স্বাভাবিক গতি প্রবাহ নিশ্চিত করা। এ লক্ষে জেলা প্রশাসন সুনামগঞ্জের ৬৯৬ জনের নাম দখলদারের তালিকা চিহ্নিত করেছেন। এবং জেলা প্রশাসন ২৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিটি উপজেলায় একযোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে গণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। সে বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দখলবাজদের তালিকা মোতাবেক প্রশাসন এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে ।
Leave a Reply