সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::তাহিরপুরে আলোচিত শিশু তোফাজ্জল হত্যাকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে খেলাঘর নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে তাহিরপুর উপজেলাবাসী মানববন্ধন পালন করছে। বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন আব্দুজ জহুর চত্বরে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, মুক্তিযুদ্ধা, সাংবাদিক, নারী, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সহ একালার শত শত মানুষের উপ¯িহতিতে এ মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, খেলাঘরের উপজেলা সভাপতি গোলাম সরোয়ার লিটন, সাধারণ স¤পাদক মাকছুম আহমেদ, সহ-সভাপতি হুসাইন আহমেদ তৌফিক, ক্রীড়া ও শরীরচর্চা বিষয়ক স¤পাদক মেঘনা আক্তার, খেলাঘরের সদস্য ফারিয়া কানিজ, নীলুফা ইয়াসমিন, নওরিন আক্তার, শাম্মী আক্তার, তমা, জোহা, পলি, জবা, লিজা ও শাকিরা প্রমূখ। উল্লেখ্য, তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর(উঃ) ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বাঁশতলার গ্রামের জুবায়েল হোসেনের ছেলে ৭ বছরের শিশু তোফাজ্জল হোসেন ৮ জানুয়ারি দাদা জয়নাল আবেদীনের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ৯ জানুয়ারি শিশুর দাদা জয়নাল আবেদীন থানায় একটি জিডি করেন। ৯ জানুয়ারি রাতের কোন এক সময়ে ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করে শিশুর পিতার বসত ঘরের বারান্দায় শিশুর পায়ের এক জুড়া জুতা সহ একটি চিরকুট লেখা দেখতে পান শিশুর পিতা জুবায়েল হোসেন। চিরকুটে লেখা ছিল শুক্রবার রাতে শিশুর পিতার যদি গরু গোয়াল ঘরে ৮০ হাজার টাকা রাখে তাহলে রাতের কোন এক সময় শিশুটি তারা অক্ষত অবস্থায় ফেরত দিবে এবং বিষয়টি পুলিশ বা অন্য কাউকে অবগত করলে শিশুটি কে মেরে ফেলা হবে। ১১ জানুয়ারি শনিবার ভোরে শিশুর একটি চোখ উপড়ে ফেলা এবং একটি পা ভাঙা অবস্থায় বস্তাবন্দি লাশ দাদা হবি মিয়ার ঘরের পিছন থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ৭ জন কে আটক করে রবিবার দুপুরে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করে ১০ দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করে পুলিশ। ১৩ জানুয়ারি আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। বর্তমানে সন্দেহ ভাজন আসামিরা রিমান্ড আছে। অপরদিকে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ১৩ জানুয়ারী রিমান্ড থাকা হবি মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়ার ঘর থেকে কাঠের বাক্স থেকে একটি রক্তমাখা লঙ্গী ও দুইটি বালিশের কাভার উদ্ধার করে পুলিশ। ১১ জানুয়ারি শনিবার মধ্যরাতে নিহত শিশুর পিতা জুবায়েল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply