Exif_JPEG_420

নবীগঞ্জে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে জাহেদকে ॥ প্রেস ব্রিফিংয়ে সহকারী পুলিশ সুপার

আলী জাবেদ মান্না:: প্রেম এবং পাওনা টাকার কারনেই নির্মমভাবে খুন হন নবীগঞ্জের বহুল আলোচিত পাহাড় পুর গ্রামের জাহেদ হোসেন। ঘটনার ১৪ দিনের মধ্যে হত্যাকান্ডের ক্লু উদঘাটন করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নবীগঞ্জ থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এই লুমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা করেন নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেল এ এসপি মোঃ পারভেজ আলম চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পাহারপুর গ্রামের মোঃ রফিক মিয়ার ছেলে শেরপুর বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জাহেদ হোসেন (২২) গত ৪ মার্চ ২০২০ ইং বুধবার রাতে শেরপুর থেকে তার দোকান বন্ধ করে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ী যাওয়ার পথে মজলিশপুর ও পারকুল পাওয়ার প্লান্টের রাস্তার মধ্যবর্তী স্থানে তার মোটর সাইকেল গতীরোধ করেএকদল দুর্বত্ত তাকে খুন করে তার লাশ রাস্তার পাশেই ফেলে রেখে চলে যায় দুর্বত্তরা। ঘটনার খবর পেয়ে পরদিন পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ঘঁনায় নিহতের মা মোছাঃ মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে অপ্সাত নামা আসামী কওে নবীগঞ্জ থানায়একটি হত্যামামলা দায়ে রকরেন। নবীগঞ্জ থানার মামলানং ০৫ তারিখ ০৬/০৩/২০২০ইং।
এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনার মুটিভ উদঘাটন করতে মাঠে নামে। এক পর্যায়ে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার কওে ঘটনার সাথে জড়িত মুল হুতা সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ইছগাও গ্রামের ধনাই মিয়ার পুত্র সাবেক প্রেমিক মোহাম্মদ আলী রুবেল (২৬) কে তার গ্রামের বাড়ী থেকে গেস্খফতার করতে সক্ষম হয়। এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত রুবেলের তথ্যেও ভিত্তিতে ঘটনার সাথে জড়িত নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের উজিরপুর গ্রামের লাল মিয়ার পুত্র রিপন মিয়া (৩০) ও মৌলভীবাজার জেলা সদরের ঘোড়া খাল গ্রামের জমশেদ মিয়ার পুত্র রনি (২৩) কে গেস্খফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদেও মধ্যে হত্যাকান্ডের মুলহুতা মোহাম্মদ আলী রুবেল গত বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধী প্রদান করে। অপর আসামীদেও রিমান্ডে নিয়ে এসে মামলার তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ সময় এ এসপি পারভেজ আলম চেšধুরী জানান, ধৃত রিপন মিয়ার ফুফাতো বোন জগন্নাথপুর থানার রানীগঞ্জ ইফপির জনৈকা যুবতীর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ধৃত মোহাম্মদ আলী রুবেল এর। এরই মধ্যে ওই যুবতী রিপনদের বাড়ি বেড়াতে আসলে নিহত জাহেদ হোসেনএর সাথে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ফলে ৬ ই মার্চ পারিবারিকভাবে বিবাহের তারিখ নির্ধারনের কথা টিক হয়। এই খবর জানতে পাওে সাবেক প্রেমিক হত্যাকারী মোহাম্মদ আলী রুবেল। এর আগে ধৃত রিপনএবং রনির নিকট নিহত জাহেদেও পাওনা টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এই ঘঁনাটি রুবেল জানতে পারে ওই ৩ জন মিলে জাহেদ হোসেন কে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে জাহেদ হোসেনের অবস্থা নির্ণয় করে ৪ মার্চ দিবাগত রাতে পরিকল্পিত ভাবে জিআই পাইপ দিয়ে জাহেদ হোসেন কে নির্মমভাবে খুন করে পালিয়ে যায়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা