কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই মহামারিকে প্রতিরোধ করতে কোনো ঔষধ আবিষ্কার হয়নি। করোনায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৬ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। পৃথিবীতে মানব সভ্যতার সাথে মহামারি করোনার এক অঘোষিত যুদ্ধ চলছে। সেই যুদ্ধে আমাদেরকে খুবই অসহায়ের মতো দেখা যাচ্ছে। এই অসহায়ত্ব ও করোনার গ্রাস থেকে মুক্তি আমাদের পেতেই হবে। মুক্তি পেতে হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সচেতন হতে হবে সকল শ্রেণির পেশার মানুষকে। স্বাস্থ্য কর্মীদের পরামর্শ অনুযায়ী নিম্নোক্ত বিষয়গুলো সমাজের সর্বস্তরে জনসচেতনতা তৈরি করতে পারলেই বৈশ্বিক মহামারি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
১। সরকার কর্তৃক জারি করা নির্দেশনা মেনে চলা। গুজবে কান না দিয়ে সরকার কর্তৃক নিয়োজিত সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা করা।
২। সাবান বা হ্যান্ডস্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া। হাত ধৌত না করে মুখে, নাকে ও চোখে স্পর্স না করা।
৩। আলিঙ্গন, হ্যান্ডসেক ও কোলাকুলি পরিহার করা। ঠান্ডা বা ফ্লু আক্রান্ত রোগির সংস্পর্শে না যাওয়া।
৪। বার বার হাল্কা গরম পানি ও ফলের রস পান করা। বেশি ঠান্ডা কিছু না খাওয়া।
৫। হাঁচি কাশির রোগির টয়লেট ব্যবহার না করা। হাঁচি কাশির রোগির টাকা স্পর্শ করে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধৌত করা। হাঁচি ও কাশিযুক্ত পোশাক দ্রুত ধৌত করা।
৬। হাঁচি ও কাশি দেয়ার সময় মুখ টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখা।
৭। দরজার হাতল, লিফটের বাটন, ফোন, ইলেকট্রিক সুইস ইত্যাদি ষ্পর্স করার পর হাত ধৌত করা।
৮। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া।
৯। প্রবাস ফেরত বন্ধুদের সংস্পর্শে না যাওয়া। প্রবাসী বন্ধুদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার ব্যাপারে উৎসাহ দেয়া।
১০। শহর-গ্রামের শ্রমজীবী অসহায় মানুষের পাশে সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিত্তবানদের নিজ নিজ উদ্যোগে দ্রুত এগিয়ে এসে তাদের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা।
এসব বিষয়ের উপর গুরত্ব দিয়ে আমরা যেন করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রিয় মাতৃভূমিকে করোনা ঝুকি থেকে রক্ষা করতে পারি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের দেশের সকল শ্রেণির মানুষকে এই মহামারি থেকে নিরাপদ ও সুস্থ রাখুন।
লেখক: কলেজ পরিদর্শক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
Leave a Reply