নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)সংবাদদাতা: হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় দুবৃর্ত্তদের হাতে খুন হওয়া বউ – শ্বাশুড়ীর মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার (১৫ মে) সকাল ১১ টায় স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। নির্মমভাবে এই হত্যাকান্ডের শিকার পুত্রবধু রুমি বেগম এবং শাশুড়ী মালা বেগমের জানাযার নামাজে হাজারো
মানুষের ঢল নামে। দাফন কাজে অংশ নিতে লন্ডন প্রবাসী পুত্র আখলাক চৌধুরী গোলজার, তার বড় ভাই আলতা মিয়া চৌধুরী সোমবার রাতেই দেশে ফিরেছেন। এ ঘটনায় নিহত রুমি বেগমের বড় ভাই পল্লী চিকিৎসক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে সোমবার রাতে নবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে পুলিশ ঘটনার দু’দিন অতিবাহিত হলেও খুনের উল্লেখযোগ্য কোন কু-উদঘাটন করতে পারে নি।
আটককৃতদের গত দু’দিন ধরে শুধু জিজ্ঞাসাবাদই হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডের কোন তথ্য বের হয়েছে কি না, এ বিষয়ে পুলিশ সাংবাদিকদের কাছে মূখ খোলছেন না। হত্যাকান্ডের পর থেকে থানা পুলিশের পাশাপাশি, হবিগঞ্জের পিবিআই, ডিবি. ডিএসবি ও র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েস্থা সংস্থা ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে বলে জানাগেছে।
এদিকে জানাযার নামাজের পুর্বে দেয়া বক্তৃতায় নিহত রুমি বেগমের স্বামী ও মালা বেগমের একমাত্র সন্তান লন্ডন প্রবাসী আখলাক চৌধুরী গুলজার এবং রুমির পিতা সুজন মিয়া চৌধুরীসহ শোকার্ত গ্রামবাসী দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মম এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনসহ প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার পুর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এদিকে মামলার বাদী নিহত রুমির বড় ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, বোন হারিয়েছি, বোনের শাশুড়ী হারিয়েছি । এ জোড়া খুনের সাথে যারাই জড়িত তাদেরকে দ্রুত সময়ে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবির জানান। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাত ১১ টায় উপজেলার কুর্শি ইউপির সাদুল্লাপুর গ্রামে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন ওই গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার স্ত্রী ও লন্ডন প্রবাসী পুত্র আকলাক চৌধুরীর মা মালা বেগম, বউ রুমি বেগম।
ওই রাতে আর্তচিৎকার শুনে গ্রামবাসী ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরের বাহির থেকে গৃহবধূ রুমি বেগম ও ঘরের ভিতরে তার শাশুড়ি মালা বেগমের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ হাসপাতাল গিয়ে লাশ দু‘টির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে।
ওই রাতে এবং সোমবার সকালে পুলিশ সন্দেহজনক ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। রির্পোট লেখা পর্যন্ত তাদেরকে আদালতে সোর্পদ করার খবর পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জোড়া খুনের বিষয়ে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি মো: শাহ আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু বলা যাবেনা। তথ্য উদঘাটন হলে এসপি মহোদয় সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানাবেন।
বাহুবল সাকেল এসপি পারভেজ আলম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে নিহত রুমির ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। আশা করি খুব শ্রীঘ্রই এই হত্যাকান্ডের মুটিভ উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
Leave a Reply