ডেস্ক রিপোর্ট:: ‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘শবে বরাত’, অর্থাৎ সৌভাগ্যের রাত। হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ সৌভাগ্যের রাত হিসেবে পালন করে।আজ বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতটিই পবিত্র শবে বরাত। এ মর্যাদাপূর্ণ রাতে মহান আল্লাহ তা’আলা বান্দাদের জন্য তার অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন।মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকবেন। অনেকে রোজা রাখেন, দান-খয়রাত করেন। অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন।মাহে শাবান এবং শবে বরাতের করণীয় সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন : ‘শাবান মাসের রোজা আমার নিকট অন্যান্য মাসের তুলনায় অধিক প্রিয়। যখন তোমাদের নিকট নিসফে শাবান তথা শবে বরাতের রাত্রি উপস্থিত হবে, তখন তোমরা সেই রাত্রিটি জাগরণ করবে। (নামাজ পড়ে, কোরআন তিলাওয়াত করে, তাসবীহ-তাহলীল আদায় করে, যিকির-আযকার করে, মৃতদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে, বালা-মুসিবত হতে মুক্তি কামনা করে, দোয়া-মোনাজাত করে ও বিভিন্ন ইবাদতের মাধ্যমে) এবং পরের দিন রোজা রাখবে।কারণ এ রাত্রে আল্লাহপাক সুর্যাস্তের পর দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং প্রার্থনাকারী বান্দাদের প্রার্থনা কবুল করার ঘোষণা প্রদান করেন। এই ঘোষণা সুবহে সাদিক পর্যন্ত চলতে থাকে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ) তাই ১৪৪১ হিজরি সালের এই শবে বরাত মুসলিম মিল্লাতের জন্য একটি বড় নিয়ামত।এবার সারাদেশে সৃষ্ট করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির জন্য জনসমাগম এড়াতে দেশবাসীকে সন্ধ্যার পরে কবরস্থানে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে সরকার। একই সঙ্গে মসজিদে যাওয়ার পরিবর্তে ঘরে থেকেই ইবাদত করতে বলা হয়েছে।বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের মরণছোবল যখন ২১০টি দেশে আঘাত হেনেছে এবং বিশ্বমুসলিম জাহানের সর্বত্র এর প্রভাব দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে, এমতাবস্থায় সকল মুমিন মুসলমানের উচিত আজ রাতে এবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আল্লাহপাকের দরবারে ক্ষমা ভিক্ষা করা, আত্মসমর্পণ করা। এই অদৃশ্য ভাইরাসের পরশ হতে মুক্তি ও নিষ্কৃতি লাভের জন্য কায়মনে দোয়া করা।পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এসব বাণীতে তারা মুসলিম উম্মার বৃহত্তর ঐক্য, দেশ-জাতির কল্যাণ ও বিশ্বশান্তি কামনা করেছেন।
Leave a Reply