কানাইঘাট প্রতিনিধি:: কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আজ বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসের সব ধরনের লক্ষন রয়েছে এমন একজনকে হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করে তার নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। করোনার লক্ষণ রয়েছে এমন এক ব্যক্তি হাসপাতালের আইসোলেশনে রয়েছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় লোকজনের মধ্যে একধরনের উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বারিউল করিম খান জানিয়েছেন, পৌরসভার বায়মপুর গ্রামের বাসিন্দা ঐ ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন করার জন্য তিনি থানা পুলিশ ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম জাহান, ঐ ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন দেয়ার জন্য বাঁশ দিয়ে বেরিকেড দিচ্ছেন। থানার এস.আই স্বপন চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন আমরা ঐ ব্যক্তির বাড়ি লকডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তার সান্দিধ্যে যারা এসেছেন তাদেরকে সনাক্ত করে কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য কাজ করছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানান, আজ যে ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছেন, তার করোনাভাইরাসের লক্ষণ রয়েছে। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডাঃ শেখ শরফুদ্দিন নাহিদ জানান, আজ বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। তখন আমরা ঐ ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস থাকার লক্ষণ পরিলক্ষিত হলে তাকে দ্রুত হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করি এবং তার নমুনা সংগ্রহ করে সিওমেক হাসপাতালে পাঠাই। তার শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রয়েছে কি না রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে হাসপাতালের করোনা সন্দেহ আমরা এ পর্যন্ত ২৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছি, তাদের মধ্যে ১২জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। অন্যদের রিপোর্ট আসেনি। তবে অনেক নমুনা সংগ্রহকারীদের রিপোর্ট ৭২ঘন্টা পেরিয়ে যাওয়ায় তারা আশংকামুক্ত রয়েছেন বলে আমরা মনে করছি। তবে জানা গেছে গত বুধবার বিকেল থেকে হাসপাতালে করোনা সন্দেহে নমুনা সংগ্রহকারীদের টেস্টিং টিউব না থাকায় আপাতত নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে। ডাঃ শরফুদ্দিন নাহিদ টেস্টিং টিউব হাসপাতালে নেই, বিষয়টি স্বীকার করে বলেন আজকে যে ব্যক্তির নমুনা সংগ্রক করা হয়েছে আমরা বিকল্পভাবে তার নমুনা সংগ্রহ করেছি। বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জন স্যারকে জানানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত আমরা টেস্টিং টিউব পেয়ে যাব।
Leave a Reply