সরেজমিন গিয়ে জানাযায়, উপজেলার রাইয়াপুর আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা হাজী মোস্তফা কামালের বাড়ীতে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ীর সবাই রাতের খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত অনুমান ২টার দিকে হঠাৎ বাংলো ঘরের বিল্ডিংয়ে আগুনের ধাউ ধাউ শব্দ পেয়ে বাড়ীর লোকজন ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন চারিদিকে শুধু আগুন আর আগুন। তখন তাদের শোর চিৎকারের গ্রামের শত শত লোকজন উপস্থিত হয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছেন। ততক্ষনে পুরো ঘর ভষ্মিভুত হয়ে যায়। অল্পের জন্য গ্রামবাসীর আপ্রান চেষ্টায় মেইন ঘর আগুনে পুড়া থেকে রক্ষা পেয়েছে।
আগুনে পুড়ে ওই ঘরে থাকা ১টি, গরু, ১ ছাগল, ৭০/৮০ হাস মুরগি পুড়ে ছাই হয়েছে। আরো ৫টি গরুর শরীর প্রায় পুরে গেছে। এ ছাড়া ১শত ৫০মন শুকানো ধান, ২০ মন চাল, পানির মেশিন, মটর, সেলাই মেশিন, ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র পুরো বিল্ডিং পুড়ে ছাই হয়ে অন্তন ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার এস আই সম্রাট আহমদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এতে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ক্বাজী ওবাদুল কাদের হেলাল, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ সরওয়ার শিকদারসহ অনেকেই।
এ ব্যাপারে বাড়ীর গৃহকর্তা মোস্তফা কামাল জানান, আমার মেয়ের জামাই কুর্শী গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী মখছদ মিয়ার ছেলে মিজান আহমদের সাথে মেয়ের কাছে যৌতুক চাওয়ার কারন নিয়ে বিরুধ চলছে। বর্তমানে আমার মেয়ে আমার বাড়ীতেই অবস্থান করছে। এ ঘটনায় মেয়ের জামাই মিজান ক্ষীপ্ত হয়ে আমি আমার মেয়েসহ পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। ওই দিন রাতে ও মিজান তার সাথে অঞ্জাতনামা আরো ২ যুবককে নিয়ে আমাদের বাড়ীর আশেপাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখা গেছে।
ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ বলেন, খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক ঘটনা। সুষ্ট তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধিদের গ্রেফতার করার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার এস আই সম্রাট আহমদ বলেন, অভিযোগ দেয়া হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply