নোয়াখালী প্রতিনিধি:নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছমির মুন্সীরহাট বাজারে বাস ও মটরসাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষে এক যুবক নিহত ও একজন আহত হয়েছে। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে চৌমুহনীর লাইফ কেয়ার হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফরহাদকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত ফরহাদ (২৫) উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের মহিদীপুর গ্রামের ওবায়দুল হকের ছেলে। গুরুতর আহত সাইফুল (১৮) অমইজদীপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। সে ওই হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ফেনী- বসুরহাট রুটের দ্রুতগামী একটি বাস চৌমুহনী যাবার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা মটরসাইকেলটির সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষ ঘটে। খবর পেয়ে সেনবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসটি আটক করে। পরে বাসটি হাইওয়ে পুলিশ জব্দ করে।
এদিকে, দূর্ঘটনায় ফরহাদের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্থানীয়রা জানান,নিহত ফরহাদ ২৬শে এপ্রিল অস্ট্রেলিয়া যাবার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিলো। সদ্য বিবাহিত স্ত্রী সহ পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে চলছে শোকের মাতম।
সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আলী পাটোয়ারী দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালীতে বাস-মটরসাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষে নিহত ১, আহত -১

নোয়াখালী প্রতিনিধি::নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ২ সন্তানের জননী গণধর্ষণের ঘটনায় মঙ্গলবার গ্রেফতাকৃত বারগাও গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আমিরুল ইসলাম মিন্টুর ৩ দিন ও ,একই গ্রামের উজির আলীর পুত্র নিজাম উদ্দিন বাচ্চুর ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত । তার আগে সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ গ্রেফতারকৃত ২ আসামীর ৫দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। এ দিকে ঘটনার ১ সপ্তাহ অতিবাহিত হলে ও পুলিশ অপর ২ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি।
উল্লেখ্য সোনাইমুড়ী উপজেলার পূর্ব নাটেশ্বর গ্রামের আবদুল বাকী বাকেরের মেয়ে আমেনা বেগমের (৩০) সাথে তার স্বামী ইসমাইল হোসেনের ইতিপূর্বে ডিভোর্স হওয়ার পর ২ ছেলে সন্তান নিয়ে তিনি তার পিত্রালয়ে বসবাস করে আসছে। এরই মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার পিতা ও সহোদররা তাকে মারধর করে। গত ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সে অভিমান করে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বাবার বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। পথিমধ্যে অটোরিক্সা ড্রাইভার আলাউদ্দিন গন্তব্যে পৌছাবে বলে বারগাঁও নিজাম উদ্দিন বাচ্চুর দোকানে নামিয়ে দেয়। পরে রাত গভীর হলে বারগাঁও গ্রামের আশিক উল্যাহ মিয়াজি বাড়ীর আমিনুল ইসলাম মিন্টুসহ তার প্রতিবেশী অস্ট্রিয়া প্রবাসী কাশেমের পরিত্যক্ত বাথরুমে চারজন মিলে ভিকটিমকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। এ দিকে ধর্ষিতার পিতা আবদুল বাকী খোঁজাখুঁজি করে মেয়েকে না পেয়ে ১০ এপ্রিল সোনাইমুড়ী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন (যার নং- ৪৭৪)। বুধবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার বারগাঁও দৌলতপুর গ্রামের ইব্রাহিম মাস্টারের বাড়ির পাশে মাছের প্রজেক্টে পানিতে আমেনা খাতুনকে বিবস্ত্র অবস্থায় লোকজন দেখতে পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানকে জানালে তিনি থানায় খবর দেন। বৃহস্প্রতিবার গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।
নোয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খিষা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনার গত বৃস্প্রতিবার ভিক্টিমের পিতা আবদুল বাকী বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি আঃ সামাদ অপর আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে । তিনি আরো বলেন রিমান্ড মজ্ঞুর হওয়া আসামীদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

সোনাইমুড়ীতে ২ সন্তানের জননী গণধর্ষণ ঘটনায় ২ আসামীর রিমান্ড মঞ্জুর

ফেসবুকে আমরা