নিজস্ব সংবাদদাতা: :নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়েনর দীঘিরপাড় কবরস্থানের পাশ দিয়ে লতিবপুর- লালাপুর ভায়া প্রজাতপুর পর্যন্ত জনসাধারনের চলাচলের একটি সড়ক রয়েছে। সম্প্রতি কলেজ ব্রীজ থেকে লতিবপুর ব্রীজ পর্যন্ত হাজার হাজার জনসাধারনের চলাচলের এই রাস্তটি পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বিবিয়ানা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছ। হুমকির মুখে রয়েছে সড়কের পাশে কয়েকটি গ্রামের একমাত্র ঈদগাহ ও কবরস্থান। জরুরী ভিত্তিতে যদি প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা না হয়,তাহলে খুব শীঘ্রই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে ঈদগাহ ও কবরস্থনটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,বিলীন হওয়া এই সড়কটিতে ভাঙ্গন শুরু হয় গত ৪/৫ বছর ধরে। কিন্ত সড়কটি রক্ষায় কেউই এগিয়ে না আসায় শেষ রক্ষা হলোনা সড়কটি। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন লাপুর,প্রজাতপুর,লতিবপুর,দীঘিরপাড় গ্রামসহ এলাকার হাজার হাজার জনসাধারনসহ স্কুল কলেজের ছাত্র- ছাত্রী চলাচল করেন। বর্তমান অবস্থায় সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় কটিন দুর্ভোগ পড়েছেন এলাকাবাসী। বিশেষ করে লালাপুর প্রজাতপুুর গ্রামের জনসাধারন ও শিক্ষার্থীদের বান্দের বাজার হয়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে ইনাতগঞ্জ বাজারে আসতে হয়।
এ ব্যাপারে ইনাতগঞ্জ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল আজাদ শাহজাহান বলেন,আজ থেকে ৫ বছর ধরে সড়কটিতে ভাঙ্গন ধরেছিলো। সময়মতো প্রয়াজনেীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করলে হয়তো চলাচলের এই সড়কটি রক্ষা করা যেতো। তিনি কবরস্থান এবং ঈদগাহ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
লালাপুর গ্রামের দিলদার হোসেন বলেন,খুবই কষ্টে আছি। রাস্তাটি গাইডওয়াল স্থাপন করে সংস্কারের জন্য অনেক ধরনা দিয়েছি। কোন লাভ হয়নি। শেষ রক্ষা হলোনা । এমন অবস্থায় যদি কেউ অসুস্থ্য হয়ে পড়েন,দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। লতিবপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বলেন,রাস্তাটি বিলীন হয়ে যাওয়ায়,আমার গ্রামের কেউ যদি এখন মারা যান, কবর স্থানে নিয়ে যাওয়া যাবেনা। দ্রুত সড়কটির পাশে গাইডওয়াল স্থাপন করে সড়কটি নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
Leave a Reply