ইনাতগঞ্জে দোকান কর্মচারীর দাড়ালো অস্ত্রের আঘাতে ম্যানেজারসহ ২জন আহত॥

নিজস্ব সংবাদদাতা:: নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ বাজারের একটি ব্যবসা প্রতিষ্টানে এক দোকান কর্মচারীর দাড়ালো অস্ত্রের আঘাতে দোকান ম্যানেজারসহ ২জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, জগন্নাথপুর উপজেলার মেঘেরকান্দি গ্রামের মাখন দাশের পুত্র দোকান কর্মচারী দিলিপ দাশ(২৫) ও নবীগঞ্জ উপজেলার পাঞ্জারাই গ্রামের মৃত রাধানাথ এর পুত্র নিরঞ্জন দাশ(৫৫)। দু’জনেরই মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে।

এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,ইনাতগঞ্জের পার্শ্ববর্তী পাঁইলগাঁও ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামের সুমন রায়ের মেসার্স প্রভীর কুমার রায় এন্ড সন্স নামে ইনাতগঞ্জ বাজারের একটি ব্যবসা প্রতিষ্টান রয়েছে। মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের প্রতেন্ড দাশের ছেলে শিপন দাশ(৩০) ও জগন্নাথপুর উপজেলার মেঘেরকান্দি গ্রামের মাখন দাশের পুত্র দিলিপ দাশ(২৫) দোকান কর্মচারী ও নবীগঞ্জ উপজেলার পাঞ্জারাই গ্রামের মৃত রাধানাথ এর পুত্র নিরঞ্জন রায়(৫৫) দোকান ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ৩ জনই রাতে দোকানে থাকেন।

গত কিছু দিন ধরে শিপন দাশের সাথে ম্যানেজার নিরঞ্জন দাশ ও অপর কর্মচারী দিলিপ দাশের মনোমালিন্য চলে আসছে। এর জের ধরে দোকানের মালিক সুমন রায় সোমবার রাত ১১টার দিকে বাসায় চলে গেলে রাত প্রায় দেড়টার দিকে ম্যানেজার নিরঞ্জন রায় সহ অপর দুই কর্মচারী প্রতিদিনের মতো দোকানে ঘুমানোর প্রস্তুতি নেন ।

এ সময় দিলিপ দাশ বাতরুমে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শিপন লোহার দাড়ালো এ্যাংগেল দিয়ে কোন কিছু বুঝার আগেই নিরঞ্জন রায়ের মাথায় আঘাত করে। এ সময় দিলিপ মাতরুম থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে একই অস্ত্র দিয়ে তার মাথায়ও আঘাত করে শিপন। এ সময় তারা চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় চিৎকারের শব্দ শুনতে পান পার্শ্ববর্তী বাসার ডা: বাপ্পি সরকার।

ডা: বাপ্পি কি হয়েছে বলে চিৎকার করলে তার চিৎকারে অপর দোকান কর্মচারী,বাজার পাহাড়াদার সহ তিনি ও ঘটনা স্থলে ছুটে আসেন। কিন্ত লোকজন আসার আগেই শিপন পাশের বিল্ডিয়ের ছাদে উঠে কিছু দুর গিয়ে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ীর পুলিশ পরিদর্শক সামছুদ্দিন খাঁন,এলাকাবাসীসহ দোকান মালিক সুমন রায় ঘটনা স্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। দোকান মালিক সুমন রায় জানান,তিনজন দোকানেই থাকতেন। কি কারনে শিপন এমন ঘটনা ঘটালো বুঝতে পারছিনা।খবর পেয়ে সাথে সাথে এসে দেখি ম্যানেজার বাবুসহ দিলিপ রক্তাক্ত।

তিনি আরো জানান, দিলিপ দাশ শংকামুক্ত হলেও নিরঞ্জন রায়ের অবস্থা গুরুতর। তাকে দুই ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে। এখনো তার ঞ্জান ফিরেনি। পাশের দোকানের ব্যবসায়ী অলক জানান,আমি চিৎকার শুনে বাসা থেকে বের হয়ে দেখি শিপন সিড়ি বেয়ে ছাদের উপরে উঠছে। বাজার পাহাড়াদার তাকে দাওয়া করলে কিছুদুর গিয়ে লাফ দিয়ে মাটিতে পড়ে পালিয়ে যায়।

ব্যাবসায় কামাল চৌধুরী বলেন,হামলার ধরণ দেখে বুজা যায়,হত্যার উদ্যোশ্যেই শিপন হামলা চালিয়েছিলো।

ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ীর পুলিশ পরিদর্শক সামছুদ্দিন খাঁন জানান,এ ঘটনায় আহত নিরঞ্জন রায়ের পুত্র কৃষœ রায় বাদী হয়ে শিপন দাশের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। কি উদ্যোশ্যে সে এমন ভয়ংকর হামলা করেছে রহশ্য উদঘাটন করা হবে। তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা