ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ দেশের উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি উদ্বিগ্নের পর্যায় গিয়ে ঠেকেছে। ভয়াবহ বন্যায় ইতোমধ্যে গাইবান্ধার ১১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া প্রায় ১৫ দিন ধরে পাঁচ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর ফলে গাইবান্ধার লাখেরও বেশি বানভাসি শিক্ষার্থী পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ডুবে গেছে কোমলমতি শিশুদের পাঠশালা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুলের শ্রেণিকক্ষ, বই-খাতা, খেলার মাঠ। এদিকে সামনে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষায় বসার তাড়া থাকলেও স্কুল বন্ধ থাকায় চিন্তায় মাথায় হাত ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের।গাইবান্ধার ৭ উপজেলায় ৩৪৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি বন্যায় বন্ধ রয়েছে ১শ ৯১টি হাইস্কুল ও কলেজ। এতে বিপাকে পড়েছে ১ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী। বন্যা সমস্যায় পড়াশোনার পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে বিশেষ ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ দিয়েছেন ওই এলাকার বিশিষ্টজনরা।
জেলা শিক্ষা অফিসার এনায়েত হোসেন জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সচল করতে বিভিন্ন পদক্ষেপের নেয়া হয়েছে। উজানের ঢলের তোড়ে উড়ে যায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘটের ১৮টি পয়েন্ট। বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে জেলার ৩৭টি ইউনিয়নের প্রায় ৫ লাখ মানুষ।
এদিকে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত মেরামত করে বিশেষ ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ঘাটতি পূরণের পরামর্শ বিশিষ্টজনদের।
Leave a Reply