জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::
সারা দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ধীর পায়ে এগিয়ে আসছে শীত। আশ্বিনের শেষ ও কার্তিকের শুরুতে ক্রমশই বাড়ছে ঠান্ডার পরশ। টানা কয়েক মাসের বৃষ্টির পর এখন বেশিরভাগ সময় রোদের ভ্যাপসা গরম ও শেষ রাতে হালকা শীত অনুভুত হচ্ছে। বিশেষ করে ভোররাতে গায়ে নিতে হচ্ছে লেপ-তোষক কিংবা কম্বল-কাঁথা।
বাংলাদেশে পৌষ ও মাঘ দু’মাস শীতের ঋতু বলে পরিচিত হলেও বর্তমানে হেমন্ত ঋতুতে দেখা দেয় শীতের আগমন। তাইতো হেমন্তের শুরুতেই শীতের একটা হালকা আমেজ অনুভব করছেন গ্রামাঞ্চলের মানুষ।এসময় টা প্রশান্তির ঘুমের জন্য সবচেয়ে উপযোগী ঋতু হওয়ায় শীতের আগমনে এখন উপজেলাজুড়ে বিরাজ করছে এক অন্যরকম আমেজ।
স্থানীয়রা জানান, গত দু’দিন ধরে দিনের বেশিরভাগ সময় রোদের ভ্যাপসা গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকেই অল্প অল্প কুয়াশা পড়তে শুরু করে।তবে কুয়াশার পরিমাণ এতো বেশি না হলেও প্রশান্তির ঘুমের জন্য শেষ রাতে লেপ-তোষক কিংবা কম্বল-কাঁথা গায়ে জড়াতেই হয়।
স্থানীয়রা আরো জানান, প্রচলিত রীতি অনুযায়ি কার্তিকে শীতের জন্ম হলেও এখানে অগ্রহায়ণ, পৌষ ও মাঘ এই তিন মাস শীত মৌসুম হিসেবেই বিবেচিত হয়। আর এই শীত মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যেই কম্বল-কাঁথা ও লেপ-তোষকের ব্যাপক কদর বেড়েছে। হিঁড়িক পড়েছে কাঁথা সেলাই আর লেপ-তোষক বানানোর।এদিকে, প্রচন্ড গরমের ক্লান্তি ভুলাতে শীত যেমন প্রশান্তির বার্তা নিয়ে আসে তেমনি হঠাৎ করে আবহাওয়া পরিবর্তনে নিয়ে আসে বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগ। এসব রোগে সবচেয়ে বেশি কাবু হয় শিশুরা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় একাধিক চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হলে জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সন্ধিক্ষণে শীত ও গরম পাশাপাশি বিরাজ করে। একারণে শিশুদের মাঝে দেখা দেয় সর্দি-কাশিসহ ঠান্ডাজনিত নানা রোগ। এসময় প্রতিদিনই এ ধরণের রোগীদের নিয়ে অভিভাবকরা হাসপাতালে এসে ভিড় করেন। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সন্ধিকণে শীত-গরম আবহাওয়া থেকে শিশুদের রক্ষা করতে অভিভাবকদের একটু বেশি যতœবান হওয়ার কথা জানান চিকিৎসকরা।
Leave a Reply