জগন্নাথপুরে আল-ইখ্ওয়ান ইসলামী সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে বেড়ীবাঁধ মেরামত

জগন্নাথপুর(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের খানঁপুর গ্রামের নিকটে গত ১২ মে শনিবার নবনির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রন প্রায় ৩০ফুট বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবেশ করায় খানপুর,জালালপুর গ্রাম সহ আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়।

উক্ত বেড়ীবাঁধ নির্মানে দায়ীত্বে থাকা পিআইসি কমিটি ও পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ভাঙ্গন কবলিত বাঁধটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ না করায় জালালপুর আল-ইখ্ওয়ান ইসলামী সমাজ কল্যাণ সংস্থা গত রবি ও সোমবার তাদের নিজস্ব অর্থায়ণে প্রায় দুই দিন প্রচেষ্টা চালিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।ভাঙ্গন কবলিত এই বেড়ীবাঁধ শুধু বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধঁই নয় এটি খানপুর, মধিপুর,গঙ্গানগর, মশাজানসহ কয়েকটি গ্রামের চলাচলের রাস্তা।

গত বছর কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনে জালালপুর ও কদমতলা গ্রামের নিকটে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে হাওরে পানি প্রবেশ করে এলাকার বোরোধান তলিয়ে যায়। কুশিয়ারা নদীর পানি র্দীঘ মেয়াদি সময় হাওরে থাকার ফলে উপজেলার রানীগঞ্জ ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের অগ্রাহায়ণের আমন ধান চাষাবাধে ব্যাহত হয়। এলাকার কৃষকরা পরপর দুটি ফসল হারিয়ে চরম বির্পযয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে। বর্তমানে খানঁপুর গ্রামের ভাঙ্গন কবলিত বেড়ীবাঁধ স্থায়ী ভাবে সংস্কার করে নদীর পানি প্রবেশ বন্ধ না করা হলে শতশত পরিবার পানিবন্ধি হওয়া সহ জালালপুর,খানপুর ও আলীপুর গ্রামের চলাচলের সড়ক তলিয়ে যাবে এবং জালালপুর ও আলীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পানি প্রবেশ করলে দুটি স্কুলের শিক্ষা র্কাযক্রম ব্যাহত হবে।

এছাড়াও এসব এলাকার কৃষকরা অগ্রাহায়ণের আমন ধান চাষাবাদ করতে পারবেনা বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।পাইলগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মো.আপ্তাব উদ্দিন ২গাড়ী বালু ২শত বস্তা দিয়ে বাঁধটি মেরামত করতে সহযোগিতা করেন।খাঁনপুর গ্রামের রিপন মিয়া ২গাড়ী বালু মেরামতের জন্য প্রদান করেন।

বেড়ীবাঁধ সংস্কারের ব্যাপারে জালালপুর আলইখওয়ান সমাজ কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কামাল হোসাইন বলেন, প্রায় ৩০হাজার টাকা বেড়ীবাঁধ মেরামতে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে।সম্পুর্ণ বাঁধটি মেরামত করতে আরো টাকার প্রয়োজন রয়েছে।বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবেশ করায় এলাকার মানুষ পানিবন্দীসহ রাস্তাঘাটের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উক্ত বেড়ীবাঁধটি সংস্কারে এলাকার জনপ্রতিনিধিরা কেউ এগিয়ে আসেনি।আমাদের সংস্থার অর্থায়নে ভাঙ্গনটি মেরামতের চেষ্টা চালিয়ে পানি প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি।তবে,কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে উক্ত বেড়ীবাঁধের বিভিন্ন স্থানে আবারও ভাঙ্গার সম্ভাবনা রয়েছে।এছাড়াও ভাঙ্গন কবলিত স্থানে পল্লী বিদ্যুতের কুটি থাকায় যে কোন সময় এই কুটি উপড়ে পরে যেতে পারে।কুটিটি পড়ে গেলে খাঁনপুর,জালালপুর,সোনাতলা,গোতগাঁও সহ কয়েকটি গ্রাম বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে পড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা