জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে ৫দিন ব্যাপী সনাতন ধর্মাম্বলী হিন্দু সম্প্রাদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসবের সমাপ্তি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকালে কুশিয়ারা ও নলজুল নদীর তীরে মন্ডপে মন্ডপে পূজা অর্চনার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ভক্তরা সিদুঁর খেলার মধ্যে দিয়ে মা দূর্গাকে স্ব-স্ব মন্ডপ থেকে বিদায় দেন। বিদায়ের সময় এক আবেগঘন মুর্হুতের সৃষ্টি হয়।
বিকালে কুশিয়ারা নদীর ফেরী ঘাটে ফেরীর উপরে করে প্রতিমা তুলে নদীর বক্ষে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। নদীর বুকে প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে জনসমাগম দেখা দেয়। ঢাক-ঢোল গানের শব্দে মুখরিত হয়ে উঠে নদীর তীরবর্তী এলাকা। এ সময় নদীর দুইপাড়ে আশেপাশের বাড়ীর ছাদে নৌকায় দাঁড়িয়ে সব বয়সের সব ধর্মের হাজার হাজার নারী পুরুষ শিশু এই মনোরম দৃশ্য উপভোগ করেন। প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছিল বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুরের সার্বজনীন দূর্গা পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি প্রদীপ সূত্রধর জানান, জগন্নাথপুর উপজেলায় ৩২টি মন্ডপে অনুষ্টিত হচ্ছে শারদীয়া উৎসব। উপজেলার পৌর শহরসহ ৮টি ইউনিয়নে ২৬টিতে সার্বজনিন এবং ৬টিতে পারিবারিকভাবে দুর্গোৎসব উদযাপন হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনের সময় নদীর র্তীরে সব বয়সের হাজারো নারী –পূরুষ, শিশু কিশোরের আগমন ঘটে। নদীর তীর যেন মিলন মেলায় পরিণত হয়।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, সার্বজনীন দূর্গা পূজা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। প্রতিটি মন্ডপে পুলিশ, আনসার দায়িত্বপালন করেছে। পূজায় কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিজয়া দশমীর উপলক্ষে উপজেলায় সড়কে ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল।
Leave a Reply