সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::হাওর বাঁচলে এলাকা বাঁচবে, এলাকা বাঁচলে দেশ ও সরকারের উন্নয়ন হবে এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে জামালগঞ্জ উপজেলায় ১৫টি গ্রামের সহস্রাধিক কৃষকদের মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকালে ৫নং ভীমখালী ইউনিয়নের হাওরবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ঘন্টাব্যাপী মানবন্ধনের পর আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান।
ইউপি সদস্য এরতাজ আলীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য আবু লেইচ, জিল্লুর রহমান, ওয়াকিব মিয়া, রঞ্জিত তালুকদার, কৃষক প্রতিনিধি সিহাব উদ্দিন, আল আমিন হক, মফিজুর রহমান, সাদির উদ্দিন, মনফর আলী, আব্দুল কদ্দুস, সাবেক ইউপি সদস্য মো. মানিক মিয়া, মুকাব্বীর, মহিজ উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, ফারুক প্রমূখ। বক্তারা বলেন, বিগত কয়েক বছর যাবত পাকনা হাওরে ভীমখালী ইউনিয়নের পিয়াই নদীর পাড় দিয়ে আপর বাঁধ দিয়ে হাওরে পানি ডুকে বারবার আমাদের ১৫টি গ্রাম সহ ভীমখালী, ফেনারবাক ও জামালগঞ্জ সহ পাকনা হাওরের সমস্ত জমি তলিয়ে যায়। বারবার ফসলহানীর কারণে আমাদের ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া ও আমাদের সাংসারিক সমস্থ কাজ ব্যাহত হয়ে আসছে।
সত্যিকার অর্থে আপর বাঁেধর কারণে আমাদের কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল রক্ষা হবে। তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ উর্ধোতন কর্মকর্তার নিকট আমাদের জোর দাবী হাওর রক্ষার স্বার্থে পিয়াই নদী সহ আপর বাঁধ নির্মাণ অত্যান্ত জরুরী বলে মনে করি। তাই হাওর রক্ষা ও ফসল রক্ষার সুবিধার্থে ৫নং ভীমখালী ইউনিয়নের সর্ব শ্রেনীর পক্ষ থেকে ২শত কৃষকের স্বাক্ষরিত একটি স্মারক লিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করা হয়।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান বলেন, তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও হাওর বাচাও সুনামগঞ্জ বাচাও আন্দোলনের সুনামগঞ্জ জেলার সহ সভাপতি ইউসুফ আল আজাদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজা আক্তার দিপু, সাচনা বাজার ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম, ফেনার বাক ইউপি চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু তালুকদার, ভীমখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল মিয়া, জামালগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার সাজিব, জামালগঞ্জ উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মো. রজব আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মাদ আলী, সাধারন সম্পাদক এম নবী হোসেন প্রমূখ।
Leave a Reply