দোয়ারাবাজারে দূর্গত এলাকা পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: গত দু’দিন ধরে হালকা বৃষ্টিপাত হলেও মেঘনা অববাহিকাসহ ভাটিতে পানির টান না থাকায় সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত রয়েছে।
সুরমাসহ উপজেলার সকল নদনদীর পানি ধান ধান হয়ে কমলেও হাওর, খাল-বিল, বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটের পানি মোটেই কমছে না। অধিক ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের কাটাখালী বাজার, আমবাড়ি বাজারসহ বিভিন্ন গ্রামের লোকালয়ে এখনও কোমর পানি থাকায় গবাদি পশুসহ বানভাসিরা পড়েছেন চরম দূর্ভোগে।
বাকি ৮ ইউনিয়নসহ শতাধিক গ্রামের বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটে হাঁটু পানি, কোমর পানি লেগে থাকায় গবাদি পশুসহ বিপাকে পড়েছেন পানিবন্দি লাখো মানুষ। উপজেলা সদরের সাথে সকল ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এ দিকে মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দিনভর দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের মন্তাজনগরসহ উপজেলার প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মশিউর রহমান।
এ সময় ৩৫০ টি বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরন করেন তিনি।
পরিদর্শনকালে তার সাথে ছিলেন- দোয়ারাবাজারের নির্বাহী অফিসার সোনিয়া সুলতানা, উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুর রহিম, ছাতকের উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম কবির, সহকারী কমিমনার (ভূমি) তাপস শীল, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, নরসিংপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা জানান, গত দু’দিন ধরে বৃষ্টিপাত না হলওে বন্যার পানি ধীর গতিতে কমছে। দূর্যোগ মোকাবেলায় সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও কন্ট্রোলরুমসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। কিন্তু মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়ে বানভাসিদের অনেকেই সেখানে যেতে আগ্রহী নন। উপদ্রুত এলাকায় এ পর্যন্ত ৪০ মে. টন চাল, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন, শুকনো খাবার, রান্নাকরা খাবারসহ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং ডেকে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রণয়নের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা