নবীগঞ্জের আউশকান্দিতে সিএনজি ও মাইক্রোবাস শ্রমিকদের মধ্যে দেড় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষ।। ভাংচুর আহত ২০

নবীগঞ্জ ( হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা ::
নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি কিবরিয়া চত্ত্বরে সিএনজি শ্রমিক ও মাইক্রোবাস শ্রমিকদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী  সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালিন সময়ে বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও গাড়িতে হামলা সহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাংচুর করেছে শ্রমিকরা। এমন ঘটনায় ব্যাবসায়ী ও এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
খবর পেয়ে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী ও নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমদসহ শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঐ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩ টা থেকে প্রায় বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
জানাযায়, উপজেলার আউশকান্দি মাদ্রাসা স্ট্যান্ডের সিএনজি চালক দেবপাড়া ইউনিয়নের নোয়া হাটি গ্রামের মনু মিয়া পুত্র সিএনজি চালক
জাবেদ মিয়ার সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রী একই এলাকার দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল মুহিত মিয়ার পুত্র ও আউশকান্দি কিবরিয়া চত্ত্বরের মাইক্রোবাস (নোহা) চালক নোমান মিয়া গত ১২ জুন সোমবার সকাল ১১টায় জাবেদের সিএনজি যোগে আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারে এসে ১৫ টাকা গাড়ি ভাড়া দেন। এ সময় সিএনজি চালক জাবেদ ১০টাকার নোট পরিবর্তন করে দিতে বলেন। তবে, নোমান তার কাছে আর কোন টাকা নেই বলে জানান।
এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা দেখা দিলে স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসা করে দেন
পরবর্তীতে জাবেদ মিয়া বিষয়টি তার সহযোগি ফরিদ মিয়াকে জানায়।
মঙ্গলবার  ঘটনার সময় ফরিদ মিয়া নোমান মিয়াকে তার দোকানের সামনে দেখা মাত্র ধাওয়া দিলে উভয় পক্ষের শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও  সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষ চলাকালীন সময় বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে রহমান সুপার মার্কেটের জেবা রেস্তোরাঁ, ওয়ালটন শো”রোম, রাজু রেস্তোরাঁ, সরকারী ধান কাটার ২টি মেশিন, পিকআপ গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
 নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমদ জানান, খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের শ্রমিকদের মধ্যে সমঝোতার  আলাপ চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে, যদি কোন পক্ষের লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা